রিমান্ড শেষে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শামসুর রহমানের আদালত এ নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান কালবেলাকে বলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মিনারুল ইসলাম হত্যা মামলায় সাবেক মেয়র আইভীকে দুইদিনের রিমান্ডে নিয়েছিল পুলিশ। রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে তোলা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার কারাগার থেকে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনা হয়। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে দুইদিন জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিষ।
জানা গেছে, রোববার (২৫ মে) বিকেলে পুলিশ আদালতে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নূর মোহসীন দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি শুনানিতে যুক্ত ছিলেন আইভী।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১১টার দিকে পুলিশের একটি দল শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত আইভীর বাড়ি চুনকা কুটিরে প্রবেশ করেন। এ সময় আইভীর গ্রেপ্তারের খবরে স্থানীয় বাসিন্দারা ও তার নেতাকর্মীরা রাস্তায় নেমে আসলে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আইভীর বাড়ির দিকে যাওয়ার দুইটি রাস্তায় বাঁশ, ঠেলাগাড়ি, ভ্যানগাড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও আইভীর সমর্থকরা। আশপাশের এলাকার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সবাইকে আইভীর বাড়ির দিকে রওনা দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
শুক্রবার (৯ মে) ভোরে আইভীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সিদ্ধিরগঞ্জের পোশাকশ্রমিক মিনারুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার তুহিন হত্যা ও নাদিম হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তার বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় হত্যাসহ ৫টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন