বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৫, ০৮:৩২ এএম
আপডেট : ৩১ মে ২০২৫, ০৮:৩৮ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ৩ পুলিশ ও আনসার সদস্য কারাগারে

ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ৩ পুলিশ ও আনসার সদস্য। ছবি : সংগৃহীত
ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ৩ পুলিশ ও আনসার সদস্য। ছবি : সংগৃহীত

বগুড়ায় ৮৫০ ইয়াবাসহ তিন পুলিশ ও এক আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার (৩০ মে) বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা কালবেলাকে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- বগুড়া পুলিশ লাইনসে কর্মরত নায়েক আব্দুল আলীম (৩৩), জয়পুরহাট সদর ট্রাফিকে কর্মরত কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন (৩৭), রাজশাহী রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) আব্দুল ওয়াহাব (৪০) এবং শফিপুর আনসার একাডেমির ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য আবু সুফিয়ান (৪২।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল জানতে পারে শহরের সাতমাথা এলাকায় একাত্তর আবাসিক হোটেলের সামনে তিন ব্যক্তি ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রির জন্য অপেক্ষা করছেন। গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সেখানে পৌঁছালে সন্দেহভাজন তিনজন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। আটকের পর আনসার সদস্য আবু সুফিয়ানের ব্যাগ তল্লাশি করে ৭০০টি ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।

এ সময় আবু সুফিয়ান গোয়েন্দা পুলিশকে জানান, কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন ও আব্দুল ওয়াহাব ইয়াবা বিক্রি করে বিকাশে টাকা নেন। পরে কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেনের বিকাশ নম্বর চেক করে ২৭ হাজার টাকার লেনদেন দেখা যায়।

তারা আরও জানান, বগুড়ায় কর্মরত পুলিশের নায়েক আব্দুল আলীম তাদের কাছ থেকে কিছুক্ষণ আগে ১৫০টি ইয়াবা কিনে নিয়ে গেছেন। পরে তাকে শহরের নবাববাড়ী সড়কের পুলিশ প্লাজার সামনে থেকে আটক করা হয়। তার হাতে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ১৫০টি ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়।

আটক চারজনের মধ্যে নায়েক আব্দুল আলীমকে তাৎক্ষণিক বগুড়া পুলিশ লাইনস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং অপর তিনজনকে গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরে মাটিডালি এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে গোয়েন্দা পুলিশ নায়েক আব্দুল আলীমকে আটক করে। পরে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কুদ্দুস বাদী হয়ে চারজনের নামে সদর থানায় একটি মামলা করেন।

বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন, আব্দুল ওয়াহাব ও আনসার সদস্য আবু সুফিয়ানের বাড়ি বগুড়া জেলার সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলায়। নায়েক আব্দুল আলীমের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ায়। আনসার সদস্য আবু সুফিয়ান বিগত সরকারের আমলে সমাজকল্যাণমন্ত্রীর বাসভবনে ডিউটি করতেন, কনস্টেবল সাখাওয়াত হোসেন বঙ্গভবনে ডিউটি করতেন। অপর দুজন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ছিলেন। তারা একে অপরের সঙ্গে পূর্বপরিচিত এবং ঢাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ৫ আগস্টের পর চারজন চার জেলায় বদলি হলেও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল এবং তারা মাদক কারবার করতেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, তাদের অপরাধের দায় বাহিনী নেবে না। তাদের গ্রেপ্তার করে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্যাংক থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার

জিয়া উদ্যানের লেকে ‘শাপলা ফুল’ রোপণ করল ‘আমরা বিএনপি পরিবার’

ভারতীয় গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিক্রিয়া

দুই নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ, সেনাবাহিনীর সঙ্গে কী কথা হলো সারজিসের

নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় জামায়াত আমিরের বিবৃতি

‘আ.লীগের উন্নয়ন ছিল ১০ টাকার, চুরি ১ হাজার...’ 

জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী / নিউইয়র্কে জাতীয়তাবাদী ফোরামের দোয়া মাহফিল

জোয়ারের পানিতে ভেসে এলো মৃত হরিণ

বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট জিতলেন ওপল সুচাতা

বিশেষ নিরাপত্তায় দপ্তরে এলেন এনবিআর চেয়ারম্যান

১০

দেশের ৫২টি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় : খন্দকার মোশাররফ

১১

মেঘনায় ট্রলার ডুবিতে দুজনের মরদেহ উদ্ধার

১২

নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছে করে : রাশমিকা

১৩

জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার খবর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে

১৪

বাংলাদেশ সফরে আসছে পাকিস্তান: চূড়ান্ত হলো সময়সূচি

১৫

জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়া গণতন্ত্রের বিজয় : রাশেদ প্রধান

১৬

‘দেশে একটি দলকে প্রতিষ্ঠিত করার ষড়যন্ত্র চলছে’

১৭

হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি দেখার অপেক্ষায় সারজিস

১৮

ঢাবির বাজেট ও ব্যয়ের আদ্যোপান্ত জানতে পারবে যে কেউ 

১৯

যুদ্ধবিমান হারানোর পর ভুলগুলো সংশোধন করেছে ভারত : শীর্ষ জেনারেল

২০
X