নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৫, ০২:৪৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

গ্রামে গ্রামে ঘুরে শপথ করাচ্ছেন আদিবাসী নারীরা

শপথ করছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীরা। ছবি : কালবেলা
শপথ করছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীরা। ছবি : কালবেলা

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মাঝে মাদক বিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধি করতে গ্রামে গ্রামে ঘুরে শপথ করাচ্ছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীরা। করছেন র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এক সময় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে আনন্দ করার জন্য নিজেদের তৈরি মাদক চুয়ানি সেবন করত। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে সেই চুয়ানি এখন ব্যবসাতে পরিণত হয়েছে। ফলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর একটি অংশ মাদক ব্যবসায় যুক্ত হওয়ায় তাদের নিজেদের পেশা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। সন্তানরা বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষা থেকে। যুবসমাজ হচ্ছে ধ্বংস।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ক্রিশ্চিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি) সহায়তায় উপজেলার বিভিন্ন আদিবাসী গ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে মাদকের সেই ভয়াল থাবা থেকে রক্ষায় উপজেলার বিভিন্ন আদিবাসী গ্রামে ঘুরে ঘুরে সচেতনতা তৈরি করতে র‌্যালি, মাদক সেবন ও ব্যবসা না করার জন্য মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের শপথ করাচ্ছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীরা। নিজেদের ভাষায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের সমাজে দিচ্ছেন মাদক বিরোধী বার্তা।

সোমবার (২ জুন) উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের মালদহ গির্জা মাঠে দিনব্যাপী এমন আয়োজন করেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারীরা।

সভায় ৮নং মাহমুদপুর ইউনিয়নের নেটওয়ার্ক সদস্য জ্যোতিষ চন্দ্র মর্মের সভাপতিত্বে এতে সিসিডিবির এরিয়া ম্যানেজার দর্কা সেন, ৭নং দাউদপুর ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ল্ড ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম মতিন, ৮নং মাহামুদ পুর ইউনিয়ন ৫নং ওয়ার্ল্ড ইউপি সদস্য শামীম মিয়া, সিসিটিবি প্রশিক্ষক জয়মনি সিং, সমাজ সংগঠক আদুরী মার্ডী, সমাজ সংগঠক প্রদীপ তুর্কিসহ আরও অনেক বক্তব্য রাখেন।

সভায় মালদহসহ আশেপাশের কয়েকটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পল্লিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর গৃহিণী, নারী শিক্ষার্থীসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর যুবকরাও অংশগ্রহণ করেন।

আয়োজকরা বলছেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সমাজ থেকে মাদক নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত তাদের এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুমিল্লার নিখোঁজ বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীকে উদ্ধার করল মোহাম্মদপুর সেনাক্যাম্প

আলোচনায় আসতে জাভিকে নিয়ে মিথ্যাচার করেছে ভারত!

বিয়ের দেড় মাস পর জানা গেল নববধূ ‘পুরুষ’

অপূর্ব সুন্দর এক দ্বীপ, কেন সেখানে পর্যটকরা নিষিদ্ধ?

ইসরায়েলকে অস্ত্র দিতে সৌদি আরবকে অনুরোধ করে যুক্তরাষ্ট্র

ক্রীড়া ও ভাষা শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে চায় বিএনপি : আমিনুল হক

ফের ৮০ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া

বানিয়াচংয়ে বাছাই করে ‘পুলিশ হত্যা’, কী ঘটেছিল?

তীব্র ভাঙনের কবলে মেরিনড্রাইভ সড়ক, ঝুঁকিতে সেন্টমার্টিন

অন্তর্বাসসহ নানা পণ্য চুরি করাই এই বিড়ালের নেশা

১০

নির্বাচন ভণ্ডুল করার অপচেষ্টাকে রুখে দেওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

১১

বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

১২

জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের

১৩

পাকিস্তানে কেন বাঘ ও সিংহ পুষছেন অনেকে?

১৪

নিম্নচাপের প্রভাবে তলিয়ে গেছে সুন্দরবনের নিচু এলাকা

১৫

‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ভিডিও বানাচ্ছিলেন তারা, অতঃপর...

১৬

আবর্জনায় ছেয়ে গেছে আমেরিকার বিভিন্ন শহর, বিপর্যস্ত নগরজীবন

১৭

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় পারভেজ মল্লিক

১৮

বাংলাদেশ থেকে বিপুল ভিডিও সরাল টিকটক

১৯

নেপালে আদালতের রায়ের খবর প্রত্যাখ্যান ইউএস-বাংলার

২০
X