সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মো. আরাফাত হোসেন (১৫) নামে এক মাদ্রাসাছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করে আসামি।
বৃহস্পতিবার (০৫ জুন) সকালে সহকারী পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
বুধবার (০৪ জুন) ভোরে উপজেলার রূপবাটি ইউনিয়নের বিন্নাদাইর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপা খাতুনের পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় পরিত্যক্ত বাড়ির কক্ষ থেকে বিভিন্ন নেশার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
আসামি মো. আরাফাত হোসেন বিন্নাদাইর গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে ও বাঘাবাড়ি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্র। সে নিহত লামিয়ার সম্পর্কে চাচাতো মামা।
সহকারী পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ৩ জুন দুপুরে ছোট বিন্নাদাইর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেত্রীর পরিত্যক্ত বাড়িতে জামরুল কুড়াতে যায় শিশু লামিয়া। তখন ওই বাড়ির রান্নাঘরে বসে ধূমপান করছিল মো. আরাফাত হোসেন। বিষয়টি লামিয়া দেখে ফেললে তা তার নানাকে বলে দেওয়ার কথা বললে তাকে মুখ চেপে ধরে আরাফাত। এ সময় লামিয়া জ্ঞান হারিয়ে ফেললে মুখের মধ্যে গামছা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। পরে বাড়ি থেকে স্কচটেপ এনে হাত বেঁধে মুখে পেঁচিয়ে ধর্ষণ করে। পরে লামিয়া নড়াচড়া না করায় বুঝতে পারে মারা গেছে। তখন বাড়ির সেফটিক ট্যাঙ্কে লাশ ফেলে দিয়ে বাড়িতে চলে যায় আসামি।
তিনি আরও জানান, বুধবার ভোরে লামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এদিন নিহত লামিয়ার বাবা মো. নাজিম সরকার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ সন্দেহভাজন আরাফাতকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করলে হত্যার কথা স্বীকার করে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (০৩ জুন) বিকেলে নানা আব্দুর রশীদের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় লামিয়া। সারাদিন খোঁজাখুঁজির পরও লামিয়াকে না পাওয়ায় ওইদিন রাত ৮টার দিকে শাহজাদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে শাহজাদপুর থানার ওসি মো. আছলাম আলীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম রাতভর অভিযান চালিয়ে ভোর ৪টার দিকে বিন্নাদাইর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেত্রী রূপার পরিত্যক্ত বাড়ির সেপ্টিক ট্যাঙ্ক থেকে লামিয়ার লাশ উদ্ধার করে।
মন্তব্য করুন