মানিকগঞ্জের সিংগাইরে হেজবুত তাওহীদের কর্মীদের ওপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় সংগঠনের পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
শুক্রবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ঘোলাইডাঙ্গা বাজারে হেজবুত তাওহীদের পত্রিকা বিতরণকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পরে আহতদের উদ্ধার করে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়।
হামলায় আহতরা হলেন- উপজেলার গোলাইডাঙ্গা মাটিকাটা এলাকার আব্দুল মজিদ (৪২), দক্ষিণ জামসা এলাকার মোহাম্মদ লাল মিয়া (৪২), হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউনিয়নের আওলাদ হোসেন (৫৫), গোলড়া এলাকার খান জাহান খান (৫২) ও বাঘিয়া এলাকার মহিদুর রহমান (৪৫)। এরমধ্যে মহিদুরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হেজবুত তাওহীদ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের দলীয় পত্রিকার বিতরণ করতে গেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত সংগঠনটির সিংগাইর থানা আমির মো. লালমিয়া জানান, হিজবুতের এই আন্দোলন আমরা ৩০ বছর ধরে কাজ করে আসছি। বিশেষ দিনগুলোতে আমাদের এই পত্রিকা সারা বাংলাদেশে আমরা বিতরণ করে থাকি। এই আন্দোলনের পত্রিকায় ইসলামের প্রকৃত আদর্শ তুলে ধরা হয়েছে। এই পত্রিকাটিতে সেই সুবাদে আমরা কাজ করে থাকি।
তিনি বলেন, মূলত আজকের যে ঘটনাটা ঘটেছে এটা একটা পূর্ব পরিকল্পিত ঘটনা। তারা এখানে তাওহীদের কোনো কাজ করতে দেবে না। এর আগেও আমাদের অনেকভাবে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছে। এর আগে আমরা আক্রমণের শিকার হইনি, করতে পারেনি। কিন্তু আজকে আমরা আক্রমণের শিকার হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, সকাল সাড়ে ৮টায় আমরা চার-পাঁচটা পত্রিকা বিক্রি করছিলাম। ঠিক সেই মুহূর্তেই হামলাটা করা হয়। পত্রিকা বিক্রি করার সময় একজন ব্যক্তি হুট করে রিকশা থেকে নেমে বলে কীসের পত্রিকা বিক্রি করতেছো তোমরা? আমরা বলেছি- এটা ইসলামের পত্রিকা। ওই ব্যক্তির সঙ্গে আরও লোকজন জড়ো হয়ে জঙ্গি সংগঠন করা যাবে না বলে হামলা চালায়।
সিংগাইর থানার উপপরিদর্শক পার্থ শেখ ঘোষ কালবেলাকে বলেন, হামলার ঘটনা সত্য। সকাল ৯টার দিকে হেজবুত তাওহীদের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলায় আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন