রাঙামাটির লংগদুতে বাড়ি ফেরার পথে কাপ্তাই হ্রদে আকস্মিক ঝড়ে নৌকাডুবিতে নারী-শিশুসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। এতে এক শিশু এখনো নিখোঁজ। নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার গুলশাখালী থেকে নৌকায় করে মাইনীমুখের এফআইডিসি এলাকায় নৌকাডুবির এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো—শিরিনা বেগম (৪০) ও রানা (৭)। নিখোঁজ শিশুর নাম মাসুম (৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে উপজেলার গুলশাখালী থেকে নৌকায় করে মাইনীমুখের এফআইডিসি এলাকায় বাড়ি ফেরার পথে কাপ্তাই হ্রদে হঠাৎ ঝড় শুরু হলে নৌকায় থাকা ৫ জনের মধ্যে দুই শিশুসহ তিনজন নিখোঁজ হয়। বাকি দুজন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে। এরপর বুধবার সকালে নিখোঁজ নারী শিরিনা বেগমের (৪০) মৃতদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এ ঘটনায় নিখোঁজ অন্য শিশু মাসুমকে (৫) উদ্ধারে কাজ করছেন ডুবুরি দলের সদস্যরা।
স্থানীয় স্কুল শিক্ষক মো. সোহেল কবির জানান, সন্ধ্যায় এফআইডিসি এলাকার ৫ জন একটি ছোট জালের নৌকা নিয়ে গুলশাখালী আত্মীয় বাড়ি বেড়াতে যায়। বেড়ানো শেষে বাড়ি ফেরার পথে হ্রদে আকস্মিক ঝড়ে নৌকা ডুবে যায়। নৌকায় ১ জন পুরুষ, ২ জন নারী ও ২টি শিশু ছিল। খবর পেয়ে আমরা রাতে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে এক নারীকে উদ্ধার করি এবং রানা (৭) নামে এক শিশুকে কচুরিপানা থেকে মৃত অবস্থায় পাই। ওই নৌকায় থাকা শিরিনা বেগম (৪০) ও তার ছেলে মাসুমকে (৫) রাতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বুধবার সকালে শিরিনা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছে শিশু মাসুম (৫)।
লংগদু ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমল বিষয়টি আমাদের জানিয়েছেন। আমাদের ডুবুরি দল রাঙামাটি থেকে সকালে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। নিখোঁজ নারী ও শিশুর মধ্যে শিরিনা বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ চলছে।
এ বিষয়ে লংগদু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, মঙ্গলবার রাত ৮টার পর আকস্মিক ঝোড়ো বাতাসে অনেক স্থানে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। তার মধ্যে গুলশাখালী এলাকায় নৌকা ডুবে এক শিশুসহ দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একটি শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে। শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
মন্তব্য করুন