কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী ও পুলিশ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় সমালোচনা শুরু হয়েছে।
ঘুষ লেনদেনের ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও কালবেলার হাতে রয়েছে। তবে ভিডিওটি কবে এবং কোন স্থান থেকে ধারণ করা হয়েছে তা জানা যায়নি।
সরবেশ আলী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং মোস্তাফিজুর রহমান রৌমারী থানার সাবেক পুলিশ কনস্টেবল এবং ওসির সরকারি গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন। অপর একটি ঘটনায় তাকে প্রত্যাহার করে ইতোমধ্যে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ঘুষ লেনদেনের ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ওই চেয়ারম্যান সরবেশ আলীর দিকে তাকিয়ে ছিলেন। এসময় চেয়ারম্যান সরবেশ আলী আশপাশ ভালোভাবে দেখে তার পকেট থেকে টাকার একটি বান্ডিল ওই পুলিশ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের পকেটের ভিতরে ঢুকিয়ে দেন। পরে ওই টাকা নেন পুলিশ সদস্য মোস্তাফিজুর।
মোস্তাফিজুর রহমান ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে কালবেলাকে বলেন, ওই চেয়ারম্যান আমাকে চা খাওয়ার জন্য পকেটে কিছু টাকা ঢুকিয়ে দেয়, তাহলে কি এটা ঘুষ। মানুষ তো আর ফেরেশতা নয় যে চা খাওয়ার টাকা নেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, যদি কর্মকর্তা ভিডিও দেখে বিচার কিংবা আমাকে যেতে বলে যামু, তবে স্যারের সামনে ওই চেয়ারম্যানকে ডেকে এনে বলব আমাকে তো চায়ের নামে টাকা দিয়েছিলেন। সব যদি ঘুষ হয় তাহলে কি দনিয়া চলবে।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে যাদুরচর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী কালবেলাকে বলেন, ওসি তার দেশের (গ্রামের) বাড়ির মসজিদের জন্য কিছু টাকা চেয়েছিল। পরে একদিন উপজেলা চত্ত্বরে আমি এক কনস্টেবলকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। আর ওই পুলিশ সদস্যকে ঈদ বোনাস হিসেবে ৫০০ টাকা দিয়েছি। তবে কাউকে আমি ঘুষ দেয়নি।
ওই টাকা যে ওসি চেয়েছেন তার নাম জানতে চাইলে ওসির নাম বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (রৌমারী সার্কেল) মমিনুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, এ রকম বিষয় আমার জানা নেই। তবে কোনো পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অনৈতিক কারবারে জড়িতের অভিযোগ উঠলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, যে বিষয়ে বলেছেন ওই পুলিশ সদস্যকে ইতোমধ্যে অন্য একটি ঘটনায় প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে ওই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন