রাজবাড়ীর পাংশায় পাওনা টাকা না পেয়ে শ্বশুরকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) উপজেলার যশাই ইউনিয়নের সমসপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটক তিনজন হলেন মেয়ের জামাই অভিযুক্ত মো. দাউদ মণ্ডল, তার ভাই মো. নাজমুল মণ্ডল ও বাবা মো. মিজান মণ্ডল। নির্যাতনের শিকার শ্বশুর মো. সাইদুল প্রামাণিক একই গ্রামের মো. লিয়াকত প্রামাণিকের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি বন্ধক নেওয়ার কথা বলেন ২০২৮ সালে ভাগনে দাউদ মণ্ডলের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা নেন তার মামা মো. সাইদুল প্রামাণিক। টাকা নেওয়ার এক বছর পার হয়ে গেলেও জমি দিতে পারেন না তার মামা মো. সাইদুল প্রামাণিক। পরে নিজ মেয়েকে ভাগনে দাউদ মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে দেন তিনি। পরে মামা ভাগনের সম্পর্ক গড়ায় জামাই-শ্বশুরে।
তবে পাওনা টাকা ছাড় দিতে রাজি নয় দাউদ মণ্ডল। বিয়ের ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও জামাইকে সেই টাকা ফেরত দেয়নি শ্বশুর। এ টাকাকে কেন্দ্র করে দাউদের সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হয়। পরে উত্তেজিত হয়ে শ্বশুরকে একটি সুপারি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে নির্যাতন করেন জামাই দাউদ মণ্ডল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দাউদের শ্বশুরকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
দাউদ মণ্ডলের মা ও সাইদুল ইসলামের বোন বলেন, আমার ভাই অনেক দিন আগে টাকা নিয়েছে। টাকা চাইলে আমাদের ওপর অনেক নির্যাতন করে। আজ আবার বাড়ির ওপর ঝামেলা করতে আসছিল তাই বেঁধে রেখেছিল আমার ছেলে।
জামাতা মো. দাউদ মণ্ডল বলেন, জমি বন্ধক দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নেয় আমার মামা সাইদুল প্রামানিক। সেই টাকা আর ফেরত দেয় না। পরে তার মেয়ের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। প্রায় ৬ বছর হয়ে গেলেও আমার টাকা দেয় না। উল্টো আজেবাজে কথা বলে। তাই আজ বেঁধে রেখেছিলাম। পরে তারা পুলিশ ডেকে আনে।
পাংশা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের জামাইসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
মন্তব্য করুন