সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উৎমা সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে গাছে ঝুলে আছে জাকারিয়া আহমেদ নামে এক বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাতে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সিলেট ৪৮ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বিষয়টি জানিয়েছেন।
জাকারিয়া আহমেদ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রনিখাই ইউনিয়নে কামাল বস্তি গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে।
বিজিবি বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সিলেট ব্যাটালিয়ন-৪৮ বিজিবির অধীন উৎমা বিওপিতে মো. গিয়াস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি জানান, তার ভাতিজা মো. জাকারিয়া আহমদ সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন উৎমা সীমান্ত এলাকায় ১২৫৮/২০এস পিলার থেকে আনুমানিক ৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে একটি গাছের সঙ্গে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। সংবাদ পেয়ে বিজিবি গিয়াস উদ্দিনকে পুলিশি সহায়তার জন্য দ্রুত থানায় জিডি করার পরামর্শ প্রদান করেন।
সিলেট ব্যাটালিয়ন-৪৮ বিজিবি অধিনায়ক ভারতের ২ ব্যাটালিয়ন বিএসএফকে বিষয়টি অবহিত করেন। বিএসএফ মরদেহের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ভারতের পিনার সালা থানায় জানায়। ঘটনাস্থল থেকে ভারতের পিনারসালা থানা দূরবর্তী, দুর্গম এলাকা এবং ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে বলে বিএসএফ বিজিবিকে জানিয়েছে। কার্যক্রম শেষে শুক্রবার (২০ জুন) সকালে বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে ভারতীয় পুলিশ বাংলাদেশি পুলিশের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাকারিয়া পেশায় শ্রমিক ছিলেন। সম্প্রতি বিয়ে করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন সীমান্তের ১২৫৮ নম্বর পিলারে ভারতের অভ্যন্তরে একটি গাছের ডালের সঙ্গে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
সিলেট-৪৮ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ভারতীয় পুলিশ বিষয়টি দেখছে। তাদের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম শেষে সকালে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
মন্তব্য করুন