নরসিংদীর পলাশে বিএনপি ও ছাত্রদলের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ছাত্রদল কর্মী ইসমাঈল হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (২২ জুন) বিকেল ৪টার দিকে পলাশ বাসস্ট্যান্ডে জানাজা শেষে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার খানেপুর মহল্লার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এ দিকে জানাজা শেষে পলাশ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ইসমাঈল খুনের দায়ে জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের ফাঁসির দাবি এবং তার অনুসারী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এর আগে শনিবার (২১ জুন) দুপুরের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার ছয়দিন পর মারা যান ছাত্রদল কর্মী ইসমাঈল হোসেন।
পলাশ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সাত্তারের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি পলাশ বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পলাশ থানা ফটকে গিয়ে শেষ হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর সাইফুল হক, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভূইয়া মিল্টন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকী, ঘোড়াশাল পৌর বিএনপির সভাপতি মো. আলম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন সোহেল, সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন, ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান ও সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম আরিফসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
এর আগে রোববিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় ঘোড়াশাল পৌরসভার পলাশ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিএডিসির মোড়ে পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পাপন ও জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। পরে আহত ইসমাইলকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার ছয়দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইসমাইল মারা যায়।
ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিয়াম মিয়া বাদী হয়ে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর কবির জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করে পলাশ থানায় একটি মামলা করেন। অপর দিকে জুয়েলের পক্ষ থেকে আলম মোল্লাসহ বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখ করে আরেকটি মামলা করে।
মন্তব্য করুন