নিয়ম না মানায় মোটরসাইকেলকে থামাতে গিয়ে সহকর্মীকে মর্মান্তিক পরিণতির দিকে ঠেলে দিলেন এক পুলিশ সদস্য। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়ায় ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিও নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
রোববার (২২ জুন) সকাল পৌনে ৬টার দিকে লোহাগাড়ার চুনতী এলাকার হাজি রাস্তার মাথা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, সড়কে অস্থায়ী তল্লাশিচৌকিতে পুলিশ দুটি মোটরসাইকেলকে থামার সংকেত দেয়। একটি বাইক দ্রুতগতিতে পালিয়ে যায়। অপরটি থামলেও মুহূর্তেই পালানোর চেষ্টা করে। তখন দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য পেছন থেকে বাইকটিকে ধাক্কা দেন।
এতেই ঘটে দুর্ঘটনা। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি গিয়ে ধাক্কা দেয় আরেক পুলিশ সদস্যকে। সড়কের পাশে থাকা একটি ট্রাকের নিচে পড়ে যান তিনি। ট্রাকের চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে থেঁতলে যায় তার ডান পা। দ্রুত তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হাঁটুর নিচ থেকে পা কেটে ফেলতে হয়।
আহত পুলিশ সদস্যের নাম আলা উদ্দিন (৩৩)। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। তিনি লোহাগাড়া থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী, ট্রাকচালক ও সহকারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে সড়ক দুর্ঘটনা আইনে মামলা করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাতকানিয়া সার্কেল) মো. তফিকুল আলম জানান, ‘মহাসড়কে ইয়াবা পাচারের তথ্যের ভিত্তিতে লোহাগাড়া থানা পুলিশ একটি চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছিল। সেই সময়ে একটি মোটরসাইকেলকে থামানোর সংকেত দেওয়া হয়, কিন্তু সেটি সংকেত অমান্য করে দ্রুত গতিতে পালিয়ে যায়। পেছনে আসা আরেকটি মোটরসাইকেলও একইভাবে সংকেত অমান্য করে পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ সদস্যরা মোটরসাইকেলগুলোকে আটকানোর চেষ্টা করেন।’
এ সময় দ্বিতীয় মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে যায়। ওই ঘটনাস্থলেই কনস্টেবল আলাউদ্দিন ট্রাকের নিচে চাপা পড়েন। তবে ট্রাক চালক দ্রুত গতি কমিয়ে থামেন এবং পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার তর নয়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় লোহাগাড়া থানায় সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।
মন্তব্য করুন