নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৫, ০৭:১২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নরসিংদী ডিসি কার্যালয়ের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ

নরসিংদী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী নাজির ইকরাম হোসেন। ছবি : কালবেলা
নরসিংদী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী নাজির ইকরাম হোসেন। ছবি : কালবেলা

নরসিংদী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী নাজিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন এক নারী।

সোমবার (২৩ জুন) নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগের পর বিচারক মো. আলী আহসান মাধবদী থানার ওসিকে মামলা নথিভুক্ত করার আদেশ দেন।

বাদীর আইনজীবী খন্দকার আব্দুল হালিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী নাজির ইকরাম হোসেন (৪২) নরসিংদী পৌর শহরের পূর্ব ভেলানগর এলাকার মৃত ইলিয়াসের ছেলে।

মামলার বরাতে আইনজীবী খন্দকার আব্দুল হালিম বলেন, ভুক্তভোগী নারীর বাবা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি তার বাবার জন্য একটি হুইল চেয়ারের আবেদন করেন জেলা প্রশাসকের কাছে। সেখান থেকে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে সহকারী নাজির ইকরাম হোসেন ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কয়েক দিন আলাপের পর একপর্যায়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ইকরামকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমি বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, বাবা হঠাৎ স্ট্রোক করে প্যারালাইজড হয়ে গেলে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি হুইল চেয়ারের জন্য আবেদন করি। সে আবেদন থেকে আমার নম্বর নিয়ে আমার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে এবং দ্রুত হুইল চেয়ার পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এক পর্যায়ে তিনি আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আমি তাকে বিয়ের জন্য বললে তিনি বিয়ে করবে বলে আমায় আশ্বস্ত করে এবং সময় চায়। এর মধ্যে আমাদের গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কাজী অফিসের মাধ্যমে বিয়ে করবে বলে আমাকে গত ৯ মার্চ মাধবদী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গাজী আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে।

তিনি আরও বলেন, ইকরামের টাকা প্রয়োজন বলে আমার কাছ থেকে নগদ দুই লাখ টাকা নেয়। এ ছাড়া ঘটনার দিন আমার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিঁড়ে গেলে মেরামত করে দিবে বলে নিয়ে গিয়ে আর ফেরত দেয়নি। পরে পুনরায় তাকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে তিনি বিয়ে করবে না বলে জানায়। এ ছাড়া নেওয়া নগদ টাকা ও স্বর্ণের চেইন ফেরত দিবে না বলেও জানান ইকরাম।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে সহকারী নাজির ইকরাম হোসেনকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।

মাধবদী থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, বিজ্ঞ আদালতের আদেশটি এখনও থানায় আসেনি। আদেশ এলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত ও ট্রেজারি শাখা) শিহাব সারার অভী বলেন, এ বিষয়টা উনার পারিবারিক ব্যাপার। তাছাড়া মামলা যেহেতু হয়েছে এটা এখন আদালত সিদ্ধান্ত নিবেন। আমাদের কিছু বলার নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় 

দুই শিক্ষার্থীসহ ৪ প্রাণ কাড়া দুই যানে ছিল না ফিটনেস

১৪ আগস্ট : টিভিতে আজকের খেলা

১৪ আগস্ট : আজকের নামাজের সময়সূচি

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

ক্ষমতায় থাকাকালীন আ.লীগ দেশকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে বানিয়েছিল : নীরব

রংপুরে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু পরিবারগুলোর পাশে ইসকন

স্বপ্ন পূরণের পথে দাবাড়ু মুনতাহা, পাশে দাঁড়ালেন আমিনুল হক

কেশবপুরে বিএনপির উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

পাথর উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযান

১০

নাটকীয় কামব্যাকের পর টাইব্রেকারে পিএসজির সুপার কাপ জয়

১১

জন্মাষ্টমী : সাংবাদিকদের সাথে পূজা পরিষদের মতবিনিময় বৃহস্পতিবার

১২

রাহুল গান্ধীকে হত্যার হুমকি

১৩

সাদা পাথর উদ্ধারে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু

১৪

বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে উয়েফা সুপার কাপে

১৫

স্বর্ণ পাচারে জড়িত সেই কেবিন ক্রু রুদাবা সাসপেন্ড

১৬

ইতালি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকা ডুবে ২৬ জনের মৃত্যু

১৭

অফিসে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে কী করবেন 

১৮

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালককে গুলির পর কুপিয়ে হত্যা

১৯

হাজার কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস 

২০
X