দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে রাতের আঁধারে চালকল ও আবাসিক ৮টি বিদ্যুতের মিটার চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে চোরচক্র বিদ্যুতের খুঁটিতে চিরকুটে মোবাইল ফোন নম্বর রেখে যায়।
পরে চোরচক্রের রেখে যাওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে মিটার প্রতি ২ হাজার ৫০০ টাকা করে মিটারগুলো ফেরত আনা হয়।
বুধবার (২ জুলাই) বিকেল ৪টায় মিটারগুলো ফেরত দেয় চোরচক্র।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের মনিরামপুর গ্রামে ও উপজেলা সদর সংলগ্নে এ চুরির ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে মেসার্স তামিজ হাসকিং মিলের স্বত্বাধিকারী মনিরুজ্জামান ডেপুটি জেনারেল দিনাজপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ নবাবগঞ্জ জোনাল অফিসে মিটার চুরির বিষয়টি অবগত করেন। এ বিষয়ে থানায় মৌখিকভাবে সহযোগিতা নেন মনিরুজ্জামানসহ ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগী মনিরুজ্জামান কালবেলাকে জানান, গতকাল মঙ্গলবার রাত ১টায় চালকল থেকে শোয়ার জন্য ঘরে যাই। তখনো চালকল মিলে বিদ্যুতের সংযোগ ছিল।
রাত ৩টার দিকে কাজের ছেলেরা চালকল চালু করতে গিয়ে দেখে বিদ্যুতের লাইন নেই। পরে বিদ্যুতের পোলে গিয়ে দেখি মিটার নেই। আর বিদ্যুতের খুঁটির নিচে একটি চিরকুটে চোর চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বিকাশ নম্বর দেওয়া ছিল।
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, আমার, আমার ভাইয়েরসহ এক জায়গায় ৬টি মিটার মঙ্গলবার রাতে মনিরামপুর গ্রাম থেকে ও উপজেলা সদর সংলগ্নে একটি মহল্লা থেকে দুটিসহ বিদ্যুতের মোট ৮টি মিটার চুরি হয়েছে। চিরকুটে দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেছি। মিটার ফেরত দিতে চোর চক্র আমার কাছে টাকা দাবি করে। বর্তমানে আমাদের ব্যবসার সিজন চলছে, তাই কোনো কিছু না ভেবেই প্রতি মিটার ২৫০০ টাকা করে দিয়ে আজ বিকেল ৪টার দিকে মিটারগুলো আবার চোরচক্রের কাছ থেকে ফেরত নেওয়া হয়।
নবাবগঞ্জ থানার এসআই শাহিন মোল্লা কালবেলাকে বলেন, ভুক্তভোগীদের মিটার চুরির কোনো লিখিত অভিযোগ হয়নি। তারা মৌখিকভাবে বলেছে। চোরচক্রকে ধরার জন্য চেষ্টা চলছে।
মন্তব্য করুন