খুলনা জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলামের নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) বেলা ১১টায় উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কয়রা উপজেলা যুব দলের আহ্বায়ক ও প্রেস ক্লাবের সভাপতি শরিফুল আলম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, খুলনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম পেশায় একজন আইনজীবী। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে তার বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। এর পাশাপাশি গত ১৬ বছরে স্বৈরাচার সরকারের দেওয়া সব মামলা পরিচালনায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিঃস্বার্থভাবে সহযোগিতা করে আসছেন। তিনি ছাত্রজীবন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘদিন তিনি কয়রা উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কখনো কোনো দুর্নাম অথবা স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ নেই।
তিনি আরও জানান, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৬ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে তিনি গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। তাকে নিয়ে এর মধ্যে স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। ঠিক সেই মুহূর্তে একজন জনপ্রিয় ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদের দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে একটি মহল শুরু। গত ১২ জুলাই তার বিরুদ্ধে কাল্পনিক ও মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করে একটি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করে তা ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করে যেভাবে তার চরিত্রহননের চেষ্টা করা হয়েছে তাতে বিস্মিত হয়েছেন এলাকার মানুষ।
‘কিছুদিন আগে উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদে জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক ও মহারাজপুর ইউপির নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে সমালোচনা করেন। এর প্রতিবাদে স্থানীয় বিএনপি বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম বক্তব্য দেন।’
‘জামায়াতের মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগ নেতার বক্তব্য দেওয়া এবং প্রতিবাদ সমাবেশে তার অপসারণ দাবির বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে স্থানীয় সংবাদকর্মী ও রাজনৈতিক নেতাদের চরিত্রহনন করে ফেসবুকে ভিডিও কন্টেন্ট ছড়িয়ে দেওয়া শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ জুলাই ‘প্রতিদিনের খবর’ নামে একটি ফেসবুক আইডিসহ কয়েকটি আইডি থেকে খুলনা জেলা বিএনপির সিনিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলামের নামে কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়া অপপ্রচার ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রতিবেদক ও তথ্য সরবরাহকারী হিসেবে যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল আলমের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং প্রতিপক্ষের গভীর ষড়যন্ত্র।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য এম এ হাসান, বিএনপির নেতা মনজুরুল আলম, রফিকুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ, শহীদুল্লাহ শাহীন, আবুল বাশার ডাবলু, গোলাম রসুল, নুর ইসলাম খোকন, নুরুল ইসলাম, ডি এম হেলাল উদ্দীন, মনজুর মোরশেদ, রবিউল ইসলাম, এহসানুর রহমান, আবুল কালাম কাজল, ইউনুস আলী, আরিফ বিল্লাহ সবুজ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন