কক্সবাজার সদরে জামায়াত নেতার নেতৃত্বে মব সৃষ্টি করে বিএনপি নেতা রহিম উদ্দিন সিকদারকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।
বুধবার (১৬ জুলাই) কক্সবাজার শহরের শহীদ সরণি এলাকায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেছেন সদর উপজেলা বিএনপির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কক্সবাজার সদর উপজেলা বিএনপির নেতারা দাবি করেন, সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রহিম উদ্দিন সিকদারের হত্যায় নেতৃত্ব দিয়েছেন জামায়াত নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান।
লিখিত বক্তব্যে সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল মাবুদ বলেন, ১৩ জুলাই রহিম উদ্দিন সিকদার পানিরছড়া বটতলী বাজারে যাচ্ছিলেন। পথে জামায়াত নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত দেশি অস্ত্র নিয়ে রহিম উদ্দিনের ওপর হামলা করে। খবর পেয়ে ছাত্রদলের ভারুয়াখালী ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি সাকিব উদ্দিনসহ স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করতে যান। এ সময় তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এতে রহিম উদ্দিন সিকদার, সাকিব উদ্দিনসহ চারজন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রামে পাঠান। গত মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিম উদ্দিন সিকদার মারা যান।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, ঘটনার পর থেকে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, হামলায় নেতৃত্বদানকারী আবদুল্লাহ আল নোমান দলটির সঙ্গে সম্পৃক্ত কেউ নন। দলটির নেতারা ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চাইছেন। জামায়াত দাবি করেছে, মসজিদের জায়গা নিয়ে বিরোধ থেকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জামায়াত অপপ্রচার চালাচ্ছে। আবদুল্লাহ আল নোমান জামায়াতে ইসলামীর দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। জামায়াত নেতাদের সঙ্গেও তার অসংখ্য ছবি রয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের জামায়াতে ইসলামীতে পদপদবি দিয়ে পুনর্বাসন করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন বিএনপি নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে হত্যাকাণ্ডে জড়িত জামায়াত নেতাসহ অন্য অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আবদুল্লাহ আল নোমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনটি রিসিভ হয়নি।
তবে জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যক্ষ নুর আহমদ আনোয়ারী কালবেলাকে জানান, মসজিদের জায়গা নিয়ে মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ঘটনার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর কোনো সম্পর্ক নেই। কিছু লোক ওই ঘটনাকে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জড়িয়ে দলের দুর্নাম সৃষ্টি করছেন।
মন্তব্য করুন