যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক বলেছেন, আপনাদের এলাকার সন্তান হিসেবে শাসক হতে চাই না, আমি আপনাদের সেবক হতে চাই।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) আগারগাঁও পরিবেশ অধিদপ্তরের অডিটরিয়ামে তেরখাদা উপজেলার উন্নয়ন শীর্ষক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ঢাকায় তেরখাদা উপজেলা কল্যাণ সমিতি ঢাকার উদ্যোগে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পারভেজ মল্লিক বলেন, যেহেতু রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, রাজনীতি করলে জনগণের কাছে যেতে হয় তাদের নিয়ে কাজ করতে হয়, মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়। আপনারা বলছেন অনেকের দ্বারা আমরা শাসিত হয়েছি, তাই শাসক হিসেবে আমরা আমাদের এলাকার সন্তানকে চাই, কিন্তু আমি আপনাদের সেবা করতে চাই।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই আমার ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা। এর আগে যখন স্কুল-কলেজে পড়েছি তখন থেকেই সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থেকেছি। আমি যখন প্রবাস জীবনে চলে যাই তার আগমুহূর্ত পর্যন্ত তেরোখাদা উপজেলার এই সমিতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। আপনারা অনেকেই বলেছেন, আমাকে আপনাদের সঙ্গে থাকতে হবে, আমি তো আছি। এতদিন ফিজিক্যালি ছিলাম না, তবে এখন আপনাদের সঙ্গে যে কোনো প্রয়োজনে আমি থাকব।
যুক্তরাজ্য বিএনপির এই নেতা বলেন, তেরখাদা নিয়ে আমার কিছু স্বপ্ন আছে, এই স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতে গেলে কিছু প্ল্যাটফর্ম লাগে। বর্তমানে আমার যে সামর্থ্য আছে, আমি তাই নিয়ে আপনাদের সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছি। রূপসা, তেরোখাদা ও দিঘলিয়া এই তিনটি থানা নিয়েই খুলনা ৪ আসন। এই এলাকায় কাজ করতে গিয়ে আমি দুইটা জিনিস লক্ষ রাখি। আমি এখানে যে কাজই করি না কেন তিন থানার মধ্যে তেরখাদাকে বেশি প্রাধান্য দেব। আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে তেরখাদা কীভাবে আমার অন্তরের সঙ্গে গেঁথে আছে।
তিনি বলেন, তেরখাদার মূল সমস্যা হলো শিক্ষা ও কর্মসংস্থান। শিক্ষাকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারলে এই অঞ্চলের মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটবে। একইসঙ্গে তাদের কর্মসংস্থানের ও সুযোগ তৈরি হবে। এ সময় তিনি এই অঞ্চলের নারীদের কর্মসংস্থান ও বেকারত্ব নিরসনে কুটির শিল্পসহ কৃষিকাজের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
তেরখাদা উপজেলা কল্যাণ সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোল্যা লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রফেসর এস এম আবুল খায়ের, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ালিয়ার রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নুর ইসলাম, অ্যাডভোকেট গোলাম মূর্তোজা লুকু প্রমুখ।
মন্তব্য করুন