সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, গোপালগঞ্জের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিশনকে আপনারা সহযোগিতা করবেন।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দুপুরে গোপালগঞ্জে চলমান পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা ফাওজুল কবির বলেন, সামনের নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে আমরা কাজ করছি। গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে একটি নতুন রাজনৈতিক দলের জনসভাকে কেন্দ্র করে কতগুলো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা জানতে প্রধান উপদেষ্টা আমাদের পাঠিয়েছেন। এমন ঘটনা যেন আর দ্বিতীয়বার না ঘটে সেদিকে নজর রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাণহানি যে কোনো এলাকায় হোক না কেন, এটা কাম্য নয়। এত বড় কিছু ঘটবে তা জানতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তিনি আরও বলেন, এখানে সাংবাদিক, পুলিশ ও সেনাবাহিনী আহত হয়েছে। এখন সবাই স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছেন। গত ১৭ বছর স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারেনি। কথা বললে আপনাদের আয়না ঘরে থাকতে হয়েছে। আমরা আসছি প্রাথমিক তথ্য নিতে। এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিশনকে আপনারা সহযোগিতা করবেন।
ফাওজুল কবির বলেন, এটা ছাত্র-জনতার সরকার, জুলাই আন্দোলনের সরকার, শহীদদের রক্তের বিনিময়ের সরকার। তাই আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই সামনে নির্বাচনে যাতে আপনারা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন সেদিকে সরকার বদ্ধপরিকর। প্রকাশ্যে ভোট গণনা করা হবে। যে রাজনৈতিক দল নির্বাচনে বিজয়ী হবে তাদের আমরা তাদের ক্ষমতা বুঝিয়ে দেব।
এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জে সংঘটিত সহিংসতার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও পরিবেশ, বন এ জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তারা প্রথমে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত গোপালগঞ্জ জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। এরপর ভাঙচুর হওয়া জুলাই শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ এলাকা এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো ঘুরে দেখেন। পরিদর্শনকালে শহরের মূল সড়ক দিয়ে হেঁটে এনসিপির পূর্ব নির্ধারিত সভাস্থল পৌর পার্ক এলাকাও ঘুরে দেখেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আ. হাফিজ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ, বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক ও জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। সভায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব পক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়। পরে জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা।
মন্তব্য করুন