সিলেটের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে পরিবহন শ্রমিকদের দুগ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেলে নগরীর দক্ষিণ সুরমায় কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। বর্তমানে বাস টার্মিনাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি (তদন্ত) মো. মারফাত আলী।
শ্রমিকরা জানান, গত বছরের ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনে সভাপতি পদে ময়নুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. আব্দুল মুহিম নির্বাচিত হন। কিন্তু নির্বাচনের পরে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের পরাজিত সভাপতি প্রার্থী সেলিম আহমদ ফলিক ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সামছুল হক মানিক নির্বাচনের কারচুপির অভিযোগ তুলে শ্রম আদালতে মামলা করেন। সে মামলা মঙ্গলবার শ্রম আদালত খারিজ করে দেন।
এ খবর পেয়েই বিকেল ৩টার দিকে সামছুল হক মানিক ও তার অনুসারীরা নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মুহিমের উপর হামলা করেন। এ সময় দুপক্ষের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং বিকেল ৪টায় দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে হাজার হাজার যানবাহন আটকা পড়ে। এতে দুপক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি (তদন্ত) মো. মারফাত আলী কালবেলাকে বলেন, কদমতলী বাস টার্মিনালে পরিবহন শ্রমিকদের দুগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মারামারির ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন