গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মকশবিলে নৌকাডুবির ঘটনায় আরও এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনজনে। রোববার (২৭ জুলাই) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে একজন ও বিকেলে আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
মৃত তিনজন হলেন- কালিয়াকৈর উপজেলার সুরিচালা এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান, একই এলাকার মজনু মিয়ার ছেলে শিমুল হোসেন ও সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হালিম মিয়ার ছেলে রফিকুল (১৮)।
এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার সুরিচালা থেকে মকশবিলে পিকনিকের নৌকা নিয়ে ঘুরতে যান ৫ বন্ধু। শুক্রবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে তাদের বহনকারী নৌকা তীব্র বাতাসে উল্টে গেলে পানিতে পড়ে যান তারা। এসময় দুজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও রফিকুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ও শিমুল পানিতে তলিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। পরে রাত গভীর হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। শনিবার ফের উদ্ধার তৎপরতা শুরু হলে দুপুরে নিখোঁজ রফিকুল ইসলামের মরদেহের সন্ধান পান ডুবুরিরা। এরপর সন্ধ্যায় ডুবুরিরা নিখোঁজ শিমুল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করে। সবশেষ রোববার সকালে উদ্ধার করা হয় মেহেদী হাসানের মরদেহ।
এ বিষয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা ইফতেখার রায়হান চৌধুরী বলেন, শুক্রবার বিকেলে মকশবিলে নৌকা উল্টে নিখোঁজ স্কুলছাত্রদের উদ্ধারে গত তিনদিন উদ্ধার অভিযান চালায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। অবশেষে রোববার সকালে সবশেষ নিখোঁজ মেহেদীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে রফিকুল ইসলাম ও শিমুল হোসেন নামে অপর দুই বন্ধুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মন্তব্য করুন