সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সুবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাসভাড়া নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো যাত্রী।
রোববার (৩ আগস্ট) রাত ৮টা থেকে জেলার সঙ্গে দেশের সব এলাকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম জানান, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী পরিবহন শ্রমিকদের মারধর ও বাসে ভাঙচুর করেছে। সেইসঙ্গে শ্রমিক নেতা আনোয়ারের ওপর হামলা এবং শ্রমিক দেলোয়ারের মুক্তির দাবিতে তারা এই কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। দাবি পূরণ না হলে কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার কথাও জানান তারা।
এদিকে সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল থেকেই শ্রমিকরা সুনামগঞ্জ নতুন বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান নেন। তারা কোনো ধরনের পরিবহন চলাচল করতে দিচ্ছেন না। এমনকি মহাসড়ক কেটে ফেলে অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের পথও বন্ধ করে দিয়েছেন।
জানা গেছে, ৩ আগস্টের ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটি প্রতিবাদ বিবৃতি দিয়েছেন। তারা জানান, ‘আমরা (সুবিপ্রবি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা) নিয়মিত যাতায়াতের অংশ হিসেবে ৯ জন শিক্ষার্থী নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে উঠি। হেলপারকে তিনজন মিলে ২০০ টাকার একটি নোট দিলে তিনি অবজ্ঞাসূচক আচরণ শুরু করেন এবং ভাড়া ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে দিরাই রাস্তার কাছে শিক্ষার্থী আরিফ বাকি টাকা চাইলে হেলপার তার ওপর চড়াও হয়, মারধর শুরু করে এবং অন্যান্য শিক্ষার্থীকেও আঘাত করে। এতে একজন শিক্ষার্থী রাহাত মারাত্মকভাবে আহত হন ও তার মাথা ফেটে যায়।’
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, তারা প্রক্টরিয়াল বডি এবং শিক্ষক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং ক্লাসে ফিরে যান। বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা ঘটনাটি নিয়ে অপপ্রচার এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগও অস্বীকার করেন।
এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও সচেতন নাগরিকেরা। অনেকে বলছেন, এমন কর্মবিরতি সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে, যা কোনো অবস্থাতেই সমাধানের পথ হতে পারে না।
মন্তব্য করুন