কুমিল্লার চান্দিনায় সড়কের ১৯টি গাছ বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক মেম্বারের ছেলেসহ একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) চান্দিনা উপজেলার মাইজখার ইউনিয়নের মেহার-রসুলপুর সড়ক থেকে কেটে রাখা ১৯টি গাছ জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন।
জানা যায়, মাইজখার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার মেহার গ্রামের আলী আকবরের ছেলে মোরশেদ আলম ও একই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক আব্দুল মান্নান ওরফে মুনাফ মাস্টার দীর্ঘদিন যাবৎ ওই সড়কের বিভিন্ন গাছ অবাধে কেটে বিক্রি করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ আগস্ট মেহার দক্ষিণপাড়া কাজী বাড়ি মোড় থেকে একই ইউনিয়নের রসুলপুর মধ্যপাড়া ভুলু মেম্বারের মসজিদ পর্যন্ত এলাকার ১৯টি গাছ বিক্রি করেন তারা। তারপর থেকে সপ্তাহব্যাপী ওই সড়কের গাছ কর্তন করে যাচ্ছেন মজিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তি।
স্থানীয় বাসিন্দা খোরশেদ আলম জানান, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ ওই সড়কের গাছগুলো বিক্রি করে আসছেন। এবারও একসঙ্গে ১৯টি গাছ বিক্রি করায় বিষয়টি নজরে আসে এলাকাবাসীর। মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করলে প্রশাসনের লোকজন এসে গাছগুলো জব্দ করেন।
গাছের ক্রেতা মজিবুর রহমান জানান, গাছগুলো আমি মোর্শেদ আলম ও মান্নান মাস্টারের কাছ থেকে কিনেছি। গত বুধবার টাকা পরিশোধ করে গাছ কাটা শুরু করি। আমি টাকা দিয়ে গাছ কিনেছি, যদি কোনো সমস্যা থাকে তাহলে যারা বিক্রি করেছেন তারা বলতে পারবে।
গাছ বিক্রেতা আব্দুল মান্নান মাস্টার গাছ বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ সচিব এসে বিস্তারিত তথ্য নিয়ে গেছে, আপনারা সচিবের কাছ থেকে জেনে নিন।
মাইজখার ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আবু সায়েম জানান, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। বিস্তারিত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জমা দিব। যা ব্যবস্থা নেওয়ার ইউএনও স্যার নিবেন।
চান্দিনা উপজেলা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান জানান, আমি সারাদিন জেলায় মিটিংয়ে ছিলাম। বিষয়টি আমার জানা নেই। আগামীদিন অফিসে গিয়ে খোঁজ নিব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাপস শীল জানান, মঙ্গলবার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আমি বিষয়টি জেনেছি। পরবর্তীতে ওই ইউনিয়নের সচিব একটি প্রতিবেদনও দেন। আগামীকাল বন বিভাগের কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন