বরগুনার বেতাগী উপজেলা ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের সংযোগস্থল জলিশাবাজার এলাকায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গার্ডার ব্রিজ এখন আশীর্বাদ নয়, বরং দুর্ভোগের প্রতীকে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ সম্পন্ন করে ব্রিজটি ব্যবহারযোগ্য করা হোক। কোটি টাকার এ প্রকল্প জনদুর্ভোগ কমানোর বদলে বর্তমানে হয়ে উঠেছে জনদুর্ভোগের কারণ।
জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে সেতুর মূল কাঠামো নির্মাণ শেষ হলেও এখনো হয়নি অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ। ফলে সেতু ব্যবহার করতে পারছেন না স্থানীয়রা। এমনকি মই দিয়েও ব্রিজে ওঠা সম্ভব নয়। এ অবস্থার কারণে দুই উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কোমলমতি শিক্ষার্থী ও সাধারণ পথচারীরাই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সবচেয়ে বেশি।
সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রিজের দুই প্রান্ত মূল সড়ক থেকে প্রায় ১৩ ফুট উঁচুতে। এমনকি এক পাশের ঢাল গিয়ে পড়েছে পাশের একটি ভবনের ছাদে। ফলে রেসিও লেভেল নিয়েই দেখা দিয়েছে জটিলতা। অ্যাপ্রোচ সড়ক না থাকায় স্থানীয়রা বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ একটি পুরোনো ব্রিজ দিয়ে পারাপার করছেন।
স্থানীয় একাধিক স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থী কালবেলাকে বলেন, প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়েই তাদের ওই পুরোনো ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
হোসনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন ফরাজী কালবেলাকে বলেন, ব্রিজ নির্মাণ শেষ হয়েছে দুই বছর আগে। অথচ এখনো এপ্রোচ সড়ক হয়নি। এতে স্থানীয় মানুষ ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ উপজেলা এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, নির্মাণ কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে তা বাড়ানোর জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করছি বৃষ্টি শেষ হলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ঠিকাদার অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ শুরু করবেন।
মন্তব্য করুন