ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল থেকে সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে লড়ছেন চট্টগ্রামের ছেলে জাহেদ আহমদ। তার বাড়ি রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী ইউনিয়নে। তিনি স্থানীয় হাজি হাফেজ আহমদের ছোট ছেলে। জাহেদ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী এবং সূর্য সেন হলের আবাসিক ছাত্র। তার ব্যালট নম্বর ৭।
এদিকে ভোটারদের নিরুৎসাহিত করার প্রচেষ্টা রুখে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলের সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) প্রার্থী জাহেদ আহমদ।
তিনি বলেছেন, সোমবার এবং রোববার (৩১ আগস্ট) যে ঘটনাগুলো ঘটে এসেছে তা নতুন কিছু নয়। এ ঘটনাগুলো আমাদের কাছে খুবই পরিচিত এবং আমরা মনে করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এ ধরনের ঘটনার সাথে পরিচিত। সচেতন শিক্ষার্থীরা খুব ভালো করেই জানেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের একটি প্রচেষ্টা শুরু হয়, যখনই ডাকসু, চাকসুসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনের আয়োজন শুরু হয় তখনই আমরা দেখি এই ধরনের ঘটনা ঘটে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলোকে বানচাল করার প্রচেষ্টা হয়।
সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
জাহেদ আহমদ বলেছেন, আমরা দেখতে পেয়েছি এ ধরনের ঘটনাগুলোর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের আতঙ্কিত করার একটা চেষ্টা করা হচ্ছে। ভোটারদের নিরুৎসাহিত করার একটা চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা মনে করি গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই শুধু নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর মধ্যে একটি সচেতনতা তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক জনগোষ্ঠীতে রূপান্তরিত হওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সেই জায়গা থেকে ক্যাম্পাসের সব শিক্ষার্থী এসব বিষয়ে সচেতন। শিক্ষার্থীরা এসব ফাঁকিবাজি, এসব রাজনীতি বানচাল করার যে পাঁয়তারা- সে বিষয়ে আগে থেকেই সচেতন এবং বুঝেন।
জাহেদ বলেন, আমরা মনে করি রোববার থেকে যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর মধ্য দিয়ে আমরা দেখতে পেয়েছি শিক্ষার্থীবান্ধব যে প্রশাসন তৈরি হয়েছে; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সে সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করার চেষ্টা চলছে। আমরা এই সম্ভাবনা নস্যাৎ করার চেষ্টা রুখে দেব।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই হবে এবং আগামী ডাকসু নির্বাচন ৯ তারিখের মধ্যেই হবে। ডাকসু থেকে শুরু করে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেবেন বলে আমরা মনে করি। এ ছাড়া ভোটারদের নিরুৎসাহিত করার আরও যেসব প্রচেষ্টা চলছে তা আমরা রুখে দেব।
মন্তব্য করুন