

গোপালগঞ্জ-০১ (কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেছেন, সাধারণ জনগণ আমাকে নির্বাচিত করলে এলাকার সব সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের সুখে-দুঃখের সাথী হিসেবে কাজ করে যাবো। আমি নির্বাচিত হলে অসহায় মানুষের পাশে থেকে তাদের কল্যাণে কাজ করব এবং দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাসসহ সব অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলব ইনশাআল্লাহ।
রোববার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী ও মুকসুদপুরে সব ইউনিয়নের সাবেক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র এবং কাউন্সিলরদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুকসুদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র সাজ্জাদ করিম মন্টু মিয়া এবং সঞ্চালনা করেন সাজাইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ফরিদুল ইসলাম।
‘তারুণ্য নির্ভর’ আগামীর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন সেলিমুজ্জামান। তিনি বলেন, বিএনপির দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের সঠিক মূল্যায়নের মাধ্যমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভেদাভেদ ভুলে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে দলীয় স্বার্থে কাজ করতে হবে।
সেলিমুজ্জামান আরও বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এবার দিনের ভোট দিনেই হবে, রাতে হওয়ার কোনো সুযোগ নেই, আমি ২০০৮ সালে চার দলীয় ঐক্যজোটের প্রার্থী হিসেবে গোপালগঞ্জ-১ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলাম তখন দেখেছি বাংলাদেশের অন্যান্য জেলায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বাভাবিক ও সুষ্ঠুভাবে হলেও গোপালগঞ্জ-১ আসনে হয়নি। নির্বাচনের দিন বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখেছি—ধানের শীষের কোনো এজেন্ট পাইনি। অথচ একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে সকলের স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশ করার কথা। আপনারা ২০১৮ সালে দেখেছেন দিনের ভোট রাতে হয়েছিল এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালেও ডামি নির্বাচন হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হব—এ আশা ব্যক্ত করছি। আমাদের প্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আমার প্রতি যে বিশ্বাস ও আস্থা রেখে ধানের শীষ প্রতীক দিয়েছেন, আমি যেন সেই প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হতে পারি—এজন্য আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমরা কে মুসলমান, কে হিন্দু—এটাই বড় পরিচয় নয়; বড় পরিচয় হলো আমরা কাশিয়ানী-মুকসুদপুরের মানুষ, আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বসবাস করবো। আমার জানা মতে, কাশিয়ানী-মুকসুদপুরে আর কোনো নিরীহ-নির্দোষ মানুষ মিথ্যা মামলা ও হয়রানির শিকার হবে না। প্রয়োজন হলে আমি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সহযোগিতা করবো, যেন এলাকার মানুষ ঐক্যবদ্ধ ও শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মুকসুদপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুস ছালাম খান, সাধারণ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম রাজু, খান্দারপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. সাহিদুল ইসলাম মুন্সী, কাশালিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান অশোক মৃধা, বাঁশবাড়িয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সোহেল, বহুগ্রাম ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ডা. রঞ্জিত, কাশিয়ানী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মোস্তফা মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. সেলিম, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সহসম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাপ্পী, রাতইল ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান আঞ্জুরুল ইসলাম আঞ্জু, রাতইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সুরঞ্জন বিশ্বাস, মোহাম্মদ সেলিম উজির, মাহমুদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নান্নু মোল্লাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান–মেম্বাররা।
সভায় বক্তারা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিমের নেতৃত্বে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
মন্তব্য করুন