পাবনার ফরিদপুরে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে স্ত্রী ও সন্তানের পর আহত সোহলে রানাও মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সোহেল মারা যান।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে ফরিদপুর উপজেলার ডেমরার চকচকিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- চাটমোহর উপজেলার চরপাড়া গ্রামের সোহেল রানা (২৮), সোহেল রানার স্ত্রী আউলিয়া খাতুন (২৫) ও মেয়ে সুমাইয়া (৭)। নিহত সোহেল রানা আক্কাস আলীর ছেলে ছিলেন।
নিহত সোহেল রানার স্বজনরা বলেন, সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের দাওয়াত খেয়ে মোটরসাইকেলযোগে সোহেল রানা তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে চাটমোহরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ফরিদপুর উপজেলার ডেমরা চকচকিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় মোটরসাইকেলের। ঘটনাস্থলেই মা-মেয়ে নিহত হয়।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় সোহেল রানাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসকরা তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে নাটোরের বড়াইগ্রামের বাগডোব এলাকায় বিকাল ৩টার দিকে মারা যায় সোহেল রানা।
ফরিদপুরের থানার ওসি হাসনাত জামান বলেন, খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থল থেকে নিহত মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন