নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় সাত মেয়ের মাকে ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার পরপরই প্রধান আসামির বাবা রোকন মিয়াকে (৫০) গ্রেপ্তার করে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের ছিলিমপুর গ্রামের রোকন মিয়ার ছেলে একরামুল হক (২৫) নওপাড়া ইউনিয়নের তারাকান্দি এলাকার ওই নারীর সঙ্গে আত্মীয়তার সূত্রে পরিচিত হন। পরিচয় থেকে তাদের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে একরামুল হক ওই নারীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে অভিযুক্ত একরামুল তার আত্মীয়ের বৈঠক ঘরে ওই নারীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে একরামুল ওই নারীকে কেন্দুয়া সিএনজি স্ট্যান্ডে আসতে বলেন। সেখানে উপস্থিত হলে একরামুল রিকশাযোগে তাকে ছিলিমপুর গ্রামের আওয়াল খানের বাড়ির পাশের বাঁশঝাড়ে নিয়ে ফের ধর্ষণ করেন। পরে ভুক্তভোগী বিয়ের দাবি করলে একরামুল তাকে মারধর করেন।
এসময় তার চিৎকার শুনে একরামুলের বাবা রোকন মিয়াও সেখানে গিয়ে ভুক্তভোগীকে বেদম প্রহার করেন। পরে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় নির্যাতিত নারী বাদী হয়ে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে কেন্দুয়া থানায় মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় একরামুল হককে। অন্য আসামিরা হলেন, তার বাবা রোকন মিয়া (৫০) ও একই গ্রামের রুহুল আমিন (৪০)।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ভুক্তভোগী নারী ৭ সন্তানের জননী। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার রোকন মিয়াকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন