পাবনা-১ আসন পুর্নবহালের দাবিতে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেড়া উপজেলার রাজপথ, নৌপথ অবরোধসহ সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা করেছে সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে পৌরসভার ফকির রাইস মিল প্রাঙ্গণে এক জরুরি সভায় এ ঘোষণা দেন সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ ফজলুর রহমান ফকির।
এর আগে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বেড়া উপজেলা চার ইউনিয়নের রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতা, বেড়া পৌরসভার বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি, শ্রমিক সংগঠনের নেতা ও রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে পাবনা-১ সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি ঘোষণা হয়।
কমিটির সদস্যরা নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বেড়া পৌরসভা ও চার ইউনিয়নকে (বেড়া-সাঁথিয়া) পাবনা-১ থেকে বিচ্ছিন্ন করে পাবনা-২ (বেড়া-সুজানগর) এর সঙ্গে যুক্ত করার তীব্র প্রতিবাদ জানান। এ ছাড়া প্রতিটি ইউনিয়ন, বাজার ও পাড়া মহল্লায় বিক্ষোভ মিছিল ও সন্ধ্যায় মশাল মিছিল করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জরুরি সভায় রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করে বক্তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করে অন্যায়ভাবে বেড়ার অংশ কেটে নিয়ে নিয়ে সুজানগরের সঙ্গে যুক্ত করে বেড়াবাসীকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছেন। এ সময় অবিলম্বে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহরের দাবি জানান।
এ সময় বক্তব্য রাখেন- সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ ফজলুর রহমান ফকির, বেড়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন ইকবাল, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাজেদুল ইসলাম দিপু, বেড়া নৌ-বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি ইকবাল, বেড়া চতুর হাট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহীন মোল্লা, বেড়া রিকশাভ্যানচালক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মঈন উদ্দিন খাজা, শ্রমিক নেতা জাকির হোসন জাহিদ।
আন্দোলনের সঙ্গে বেড়া বাজার বণিক সমিতি, বেড়া ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতি, বেড়া বাজার স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতি, বেড়া বাজার কাপড় ব্যবসায়ী সমিতি, বেড়া বাজার চাউল ব্যবসায়ী সমিতি, বেড়া বাজার বন্দর ঘাট শ্রমিক সমিতি, নাকালিয়া বন্দর ব্যবসায়ী সমিতি, নাকালিয়া নৌ-শ্রমিক বন্দর সমিতিসহ বেড়ার চার ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিরা একাত্মতা প্রকাশ করেন।
মন্তব্য করুন