হাইকোর্টের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির বিশেষ কম্পিটেন্সি অ্যাসেসমেন্ট পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তারা। তাদের অভিযোগ, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কর্মী ছাঁটাইয়ের নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্য এ ধরনের অযৌক্তিক ও আইনবহির্ভূত পরীক্ষা আয়োজন করছে। প্রায় আট হাজার ব্যাংকার ও তাদের পরিবার বর্তমানে অনিশ্চয়তা ও চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানিয়েছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কেএম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আবারও পরীক্ষা আয়োজন করছে। এটি আদালত অবমাননার শামিল।’
ব্যাংকাররা জানান, গত ১৪ আগস্ট একটি সার্কুলারের মাধ্যমে ২৯ আগস্ট বিশেষ মূল্যায়ন পরীক্ষার আয়োজন করা হলেও হাইকোর্টের নির্দেশে সেটি স্থগিত করা হয়। তবে গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে নতুন করে সার্কুলার জারি করে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পুনরায় পরীক্ষা আয়োজনের ঘোষণা দেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ, যা আদালতের নির্দেশনা অবমাননার শামিল।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, অনেক ব্যাংকার ইতোমধ্যে ডিপ্লোমা ইন ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন যোগ্যতা অর্জন করেছেন। তবুও এই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে বা অংশগ্রহণ না করলে চাকরি হারানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিছু বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার জন্যও এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
এ সময় জানানো হয়, সম্প্রতি কয়েকজন ব্যাংকারকে বিনা নোটিশে ছাঁটাই করা হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তার কাছে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকাদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার ও অ্যাডভোকেট হাসান আলী চৌধুরী।
মন্তব্য করুন