বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) রংপুর মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতির সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) মাহফুজুর রহমান স্বাক্ষরিত নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।
একই সঙ্গে এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ও নিরপেক্ষ প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন— বাগছাসের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু তৌহিদ মো. সিয়াম, সিনিয়র সংগঠক নাঈম আবেদীন এবং সদস্য মোহাম্মদ আরশাদ হোসাইন।
ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওই বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক হন। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থী। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। সেই কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পর তিনি বাগছাসের পদ পান।
রংপুর নগরীর হারাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় ‘অকৃতকার্য’ হওয়া প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থীকে গণহারে পেটানোর অভিযোগে ইমতির সদস্য পদ স্থগিত করা হয়।
গত ৪ সেপ্টেম্বর নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হারাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে ইমতিয়াজ আহমেদ শ্রেণিকক্ষে ঢুকে অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির প্রায় অর্ধশত ফেল করা শিক্ষার্থীকে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন। এসময় উপস্থিত কোনো শিক্ষক তাকে বাধা দেননি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের অভিযোগ, অর্ধবার্ষিক পরীক্ষায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ইমতিয়াজ এ নৃশংস আচরণ করেন। ঘটনার দুই দিন পর অভিভাবক ও এলাকাবাসী স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে বিচার দাবি করেন। এ ঘটনায় মারধরের শিকার দুই শিক্ষার্থীর বড় ভাই নগরীর পরশুরাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পরে প্রধান শিক্ষক ও অভিযুক্ত ইমতিয়াজ আহমেদ অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চান এবং বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন