

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে মারা গেলেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের জুলাই যোদ্ধা শফিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত শফিকুল ইসলাম আব্দুল সামাদ ও রোকেয়া বেগম দম্পতির ছেলে। বর্তমানে পরিবারটি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী পূর্ব এলাকায় বসবাস করছিল। তিনি গাজীপুরের গেজেটভুক্ত জুলাই যোদ্ধা ছিলেন।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট দুপুরে উত্তরা আজমপুরে ডান পায়ের ঊরুতে গুলিবিদ্ধ হন। তিনি দীর্ঘদিন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে সরকার তাকে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে সকল কাগজপত্র ব্যবস্থা করলে তিনি দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
এদিকে তার মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্বজন, সহযোদ্ধা ও এলাকাবাসী তাকে একজন সাহসী জুলাই যোদ্ধা হিসেবে স্মরণ করছেন।
পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে হালুয়াঘাট জুলাই শহীদ ও আহত সেলের প্রতিনিধি রিদওয়ান সিদ্দিকী জানান, শহীদ শফিকের জানাজা নামাজ বুধবার সকাল ১০টায় হালুয়াঘাট উপজেলার দর্শারপাড় মামা পাগলা মাজার মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাকে হালুয়াঘাটে নিজ এলাকায় দাফন করা হবে।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়কারী আল নূর মোহাম্মদ আয়াস বলেন, আমাদের জুলাই যোদ্ধারা এখনো উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমাদের জুলাই যোদ্ধারা আহত হয়েছে। আমাদের শহীদ পরিবারগুলো এখনো খুনিদের বিচার পাচ্ছে না। অন্যদিকে রাজনৈতিক দলগুলো শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করছে।
এদিকে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আজ হলুয়াঘাটের এক আহত জুলাই যোদ্ধা, শফিকুল ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন। তিনি গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রায় দেড় বছর ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আল্লাহ তাআলা তাকে শহীদ হিসেবে কবুল করুন।’
মন্তব্য করুন