লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক বিরোধের জেরে ঘরে ঢুকে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ইমন হোসেন নামে এক যুবককে ওই ঘর থেকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে জেলা স্টেডিয়ামের পূর্ব পাশে হাব্বি উল্লাহ্ কেরানি বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত রাশেদা বেগম পৌর শহরের ১০নং ওয়ার্ডের লাহারকান্দি এলাকার মৃত মোবারক হোসেনের স্ত্রী। তিনি ৩ মেয়ে ১ ছেলে সন্তানের জননী। তিনি একাই বসবাস করেন নিজ ঘরে। অভিযুক্ত ঘাতক ইমন পার্শ্ববর্তী মিঝি বাড়ির মো. সেলিমের ছেলে।
লক্ষ্মীপুর জেলার পুলিশ সুপার মো. আক্তার হোসেন হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, রাশেদা বেগম বাসায় একাই থাকতেন। শুক্রবার ফজরের নামাজের ওজু করতে ওই নারী ঘর থেকে বের হন। এ সময় একই বাড়ির সেলিমের ছেলে ইমন হোসেনকে ঘরের দরজা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন তিনি। পরে রাশেদা বেগম ইমনকে নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসা করার একপর্যায়ে ঘরের ভেতরে ঢোকে ইমন। পরে দরজা আটকে বঁটি দিয়ে রাশেদা বেগমকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে ইমন। এতে রাশেদার চিৎকারে আশপাশে লোকজন এগিয়ে এলে ওই নারীর মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘরে লুকিয়ে থাকে সে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতর থেকেইমন হোসেনকে আটক করে।
নিহতের দুই মেয়ে নূর নাহার সাথী ও কামরুল নাহার লিপি সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার তার মা প্রতিবেশী ইমনের হাতে গাছ থেকে সুপারি পাড়ান। ইমন তাদের ঘরে এলে, মা তাকে শরবত খেতে দেয় এবং তার পারিশ্রমিক সুপারি পাড়ার টাকা পরিশোধ করেন। হঠাৎ কী কারণে ইমন মাকে হত্যা করবে বিষয়টি আমাদের চিন্তায় আসে না। তবুও আমরা ইমনের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি করছি।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-সার্কেল) মো. রেজাউল হক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাশেদা বেগমের সঙ্গে ইমনের স্ত্রীর নানা বিষয় নিয়ে মতবিরোধ চলে আসছে বলে জানান ইমন হোসেন। এর জের ধরে তাকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করছে। ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
মন্তব্য করুন