সিলেট নগরের যানজট মোকাবিলায় ২৭ দফা প্রস্তাবনা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি (এনসিপি)। এনসিপির প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহ্বায়ক ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এহতেশাম হক এই প্রস্তাবনা উপস্থান করেন।
শনিবার (৪ অক্টোবর) নগরের একটি রেস্টুরেন্টে এক প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করে দলটি।
প্রস্তাবে বলা হয়, সরকার যেন ‘বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০২৫’ প্রজ্ঞাপন জারির আগে সব স্টেকহোল্ডার নাগরিকের পূর্ণাঙ্গ মতামত গ্রহণ করে। দলটি বলছে, কর্তৃপক্ষের উচিত অটোরিকশাজনিত সমস্যাগুলো সিলেটবাসীর সামনে উপস্থাপন করা—সড়ক দুর্ঘটনায় অটোরিকশার ভূমিকা কতটুকু? সিএনজি ও অন্যান্য যানবাহনের ভূমিকা কতটুকু?
এনসিপির ২৭ দফা প্রস্তাবনার চূম্বক অংশগুলো হলো—অংশগ্রহণমূলক নীতি প্রণয়ন ও গবেষণাভিত্তিক তথ্য প্রকাশ, যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটি গঠন, যান্ত্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চালক ও নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা প্রদর্শন, গ্যারেজ তালিকা প্রণয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নির্দিষ্ট পার্কিং স্ট্যান্ড, চার্জিং স্টেশন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার, ফি নির্ধারণে আলোচনা ও রেকার ফি বৈষম্য দূরীকরণ, পরিবেশবান্ধব ডিসপোজাল ও চার্জিং নীতি গ্রহণ, সড়ক প্রশস্তকরণ ও অপ্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান স্থানান্তর, উঁচু ভবন নির্মাণে সীমাবদ্ধতা ও হাসান মার্কেট সংস্কার, হকার ব্যবস্থাপনা ও সড়ক নিরাপত্তা অবকাঠামো উন্নয়ন, ডিজিটাল ট্রাফিক সিস্টেম প্রবর্তন ও টার্মিনাল স্থানান্তর, মাজার এলাকা ব্যবস্থাপনা ও যানবাহনের জন্য আলাদা লেন চালু, নির্দিষ্ট রোডে যানবাহনের সীমা নির্ধারণ, অপ্রাপ্তবয়স্ক ও লাইসেন্সবিহীন চালক শনাক্তকরণ, ট্রাফিক শিক্ষা ও সচেতনতা কর্মসূচি চালু, পরিবহন শ্রমিকদের প্রতি সম্মান ও সংহতি নিশ্চিত করা।
বক্তারা আশা প্রকাশ করেন যে, সিলেটের যানজট সমস্যার টেকসই সমাধানে এই ২৭ দফা প্রস্তাবনা স্থানীয় প্রশাসন ও নাগরিক সমাজের মধ্যে আলোচনার নতুন মাইলফলক তৈরি করবে।
মন্তব্য করুন