পাঁচ বছরের দাম্পত্য জীবনে সন্তান না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় ছিলেন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চাঁদকাঠী গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী সোহেল হাওলাদার ও লামিয়া আক্তার দম্পতি। সে দুশ্চিন্তা ঘুচিয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে একে একে পাঁচ নবজাতক।
সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে বরিশাল ডায়াবেটিক হাসপাতালে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন লামিয়া। নবজাতকদের মধ্যে তিনজন ছেলে ও দুজন মেয়ে। এদিকে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে বরিশাল ডায়াবেটিক হাসপাতাল এলাকায়ও ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। নবজাতকদের দেখতে অনেকেই ভিড় করছেন হাসপাতালে।
একই সঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্মদানের খবরে সোহেল মিয়ার উপজেলার শিংহেরাকাঠী গ্রাম ও কেশবপুর ইউনিয়নের চাঁদকাঠী গ্রামের লামিয়ার বাবা ফারুক হাওলাদারের বাড়িতে বইছে আনন্দের বন্যা।
নবজাতকদের মা লামিয়া আক্তার বলেন, পাঁচ বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু সন্তান হচ্ছিল না। এ নিয়ে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলাম। পরে গর্ভে সন্তান আসে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানতে পারি গর্ভে যমজ তিন সন্তান রয়েছে। এতেই খুশি ছিলাম। কিন্তু প্রসবের পর জানতে পেরেছি আমার তিন ছেলে এবং দুই মেয়ে সন্তান হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এটি আমার জন্য অনেক আনন্দের খবর। সবাই দোয়া করবেন আমার পাঁচ সন্তান যেন সুস্থ এবং ভালো থাকে।
একইভাবে এক সঙ্গে পাঁচ সন্তানের বাবা হতে পেরে আনন্দিত সোহেল হাওলাদার। তিনি বলেন, আমি এবং আমার পরিবার অনেক খুশি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আল্লাহ যেন আমার পাঁচ সন্তান এবং ওদের মাকে সুস্থ রাখেন।
বরিশাল ডায়াবেটিক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান বলেন, মা ও নবজাতক সুস্থ আছে। তাদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্মদানের বিষয়টি অনেকটাই বিরল ঘটনা হলেও সবকিছু স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
মন্তব্য করুন