শরীয়তপুরের সখিপুরে স্ত্রী তালাক দেওয়ায় আব্দুর রহিম নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে চরভাগা ইউনিয়নের পশ্চিম মনাই হাওলাদারকান্দি গ্রামে নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেন তিনি।
আব্দুর রহিম পশ্চিম মনাই হাওলাদারকান্দি গ্রামের শাজাহান দেওয়ানের ছেলে। তিনি নড়িয়া সরকারি কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় আট মাস আগে প্রেমের সম্পর্কের পর সামিয়া নামের এক তরুণীকে বিয়ে করেন রহিম। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। সম্প্রতি সম্পর্কের অবনতি হলে সামিয়া সোমবার রহিমকে তালাকের কাগজ পাঠায়। তালাকের বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন রহিম। মঙ্গলবার বিকেলে নিজ ঘরে আত্মহত্যা করেন তিনি।
রহিমের বাবা শাজাহান দেওয়ান বলেন, আমার ছেলেটা মেয়েটাকে অনেক ভালোবাসত। কাল তালাকের কাগজ আসার পর থেকে কিছু খায়নি। আজ ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়, পরে দেখি বিছানায় পড়ে আছে। হাসপাতালে নিয়ে যাই; কিন্তু ও আর বাঁচল না।
সামিয়া বলেন, ভালোবেসে আমাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আমাদের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। রহিম আমাকে প্রায় তালাকের কথা বলত, আর সহ্য না করতে পেরে আমিই তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিই। সোমবার রহিমকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছি, মঙ্গলবার শুনি সে আত্মহত্যা করেছে। আমি ভাবতে পারিনি রহিম এমন কাজ করবে।
সখিপুর থানার ওসি ফয়েজ আহম্মেদ বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী-স্ত্রীর কলহের জেরেই তরুণটি আত্মহত্যা করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন