গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিয়ের প্রলোভনে আবাসিক হোটেলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে এক তরুণীর (১৭) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জড়িত প্রেমিকসহ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার দুজন হলেন— রাজশাহীর বাঘমারা উপজেলার উত্তর সাজুরিয়া গ্রামের হেলাল উদ্দিনের ছেলে মমিনুল ইসলাম মোহন (২২) এবং পাবনার চাটমোহর উপজেলার নিমাইচুরা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে আতিকুর রহমান (২৩)।
পুলিশ জানায়, নিহত তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে মমিনুল ইসলাম। পরবর্তী সময়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে তরুণীকে চন্দ্রা এলাকার একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের একপর্যায়ে তরুণী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
প্রথমে স্থানীয় এক ফার্মেসিতে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়, কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে মমিনুল ও তার সহযোগী আতিকুর তরুণীকে অটোরিকশায় করে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
পরে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিলে চন্দ্রা এলাকায় পৌঁছানোর আগেই তরুণী মারা যায়। বিষয়টি টের পেয়ে অ্যাম্বুলেন্সচালক কৌশলে মির্জাপুর থানায় নিয়ে যায়। পরে পুলিশ প্রেমিক মমিনুল ও তার সহযোগী আতিকুরকে আটক করে।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকালে মির্জাপুর থানা থেকে বিষয়টি কালিয়াকৈর থানা পুলিশকে জানালে দুপুরে আসামিদের হেফাজতে নেওয়া হয়। পুলিশ তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার ওসি আব্দুল মান্নান কালবেলাকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই তরুণী মারা গেছেন। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা তদন্ত করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন