চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নকশা অনুমোদন ফরম বিক্রি করে টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দেওয়ার ঘটনা আলোচনার আসার পর সংস্থাটির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুদক চট্টগ্রামের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাতের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির নকশা অনুমোদন ফরম বিক্রি ও কল্যাণ ফান্ডের টাকা সরকারি কোষাগারের জমা না দেওয়ার ঘটনায় বিভিন্ন নথি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন তারা। এর মধ্যে দুই একটি নথিতে অসঙ্গতি পায় দুদক।
গত ৪ সেপ্টেম্বর দৈনিক কালবেলা পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘ব্যাংকের জাল স্লিপে সিডিএর কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর সিডিএ কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিবেদনটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।
অভিযান শেষে দুদকের উপপরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, দুদকের হটলাইন নম্বর ১০৬ এ ফোনে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সিডিএতে অভিযান পরিচালনা করি । আমাদের কাছে অভিযোগ ছিল ভবনের নকশা অনুমোদনের ফরমে ব্যাংকের সিল-স্বাক্ষর জাল করে টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। সিডিএ’র কাছে দুই বছরের কাগজপত্র চেয়েছি। যা পরবর্তীতে পর্যালোচনা করে এবং ব্যাংক হিসাবের সঙ্গে কোনো অমিল আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। তাদের কাছে কিছু কাগজপত্র চেয়েছি। আগামী সোমবারের মধ্যে তারা আমাদের সব কাগজপত্র দেবেন বলে জানিয়েছে।
অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আসলে কাগজপত্র না দেখে বলা সম্ভব না। তারা যে অনুমোদন দিয়েছেন সেই ফাইলগুলো দেখতে হবে। অনেক ফাইল এখানে। ফাইলগুলো দেখে ও ব্যাংকের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হবে এখানে টাকা জমা হয়েছে কিনা। আমরা দুই একটা ফাইল দেখেছি। একটি দুটিতে অসঙ্গতি আছে বলে মনে হয়েছে। পুরো বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখতে হবে।
মন্তব্য করুন