

সৌদি আরবে নিখোঁজের ১৫ দিন পরে মরুভূমির নির্জন এলাকায় পাথর চাপা দেওয়া সবুজ মাতুব্বরের মরদেহ খুঁজে পেয়েছে সৌদি পুলিশ। সবুজের ব্যবহৃত পোশাক দেখে মরদেহটি সবুজের বলে শনাক্ত করে সৌদিতে থাকা পরিচিতরা।
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার মানিকপুর গ্রামের ভ্যানচালক বাবার একমাত্র ছেলে সবুজ। ভাগ্য পরিবর্তন করতে ধার-দেনা করে প্রবাসে পাড়ি দিয়েছিলেন সবুজ। প্রবাসী জীবনের বছর না যেতে প্রায় ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।
গত সোমবার (১৪ অক্টোবর) সৌদি আরবের আল কাসিম মরুভূমিতে পাথর চাপা দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করেছে সৌদি পুলিশ। ওখানেই একটি কনস্ট্রাকশনের কোম্পানিতে কাজ করতেন সবুজ।
পরিবার জানায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর বাড়িতে বাবা জলিল মাতুব্বরের সঙ্গে সর্বশেষ ফোনে কথা হয়। এ সময় বাড়িতে ১০ হাজার টাকা পাঠানোর কথা বলেন সবুজ। এরপর ১ অক্টোবর টাকা পাঠানোর কথা থাকলে টাকা না পেয়ে ফোন দেন ছেলের কাছে। তবে বন্ধ পাওয়া যায় নম্বর। এরপর আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ছেলের সঙ্গে। এদিকে আল-কাসিম এলাকায় যেখানে থাকতে সবুজ, ওই এলাকার পাশের এক মরুভূমির নির্জন এলাকায় পাথর চাপা দেওয়া মরদেহ খুঁজে পায় সৌদি পুলিশ। ব্যবহৃত পোশাক দেখে মরদেহটি সবুজের বলে শনাক্ত করে সৌদিতে থাকা পরিচিতরা।
পরিবারের দাবি, অসহায় এই পরিবারের পক্ষে খরচ বহন করে সবুজের মরাদেহ দেশে আনা সম্ভব নয়। তাই সরকারের কাছে তাদের চাওয়া মরদেহটি যেন সরকারি খরচে দ্রুত দেশে আনা হয় এবং প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটন করে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এইচ এম ইবনে মিজান জানান, পরিবারের পক্ষ হতে আমাদের এখনো জানায়নি, তবে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আশা করি, উপজেলা প্রশাসন হতদরিদ্র পরিবারটির সব সময় পাশে থাকবে।
মন্তব্য করুন