নাটোরে তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের সমর্থন জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভা ও স্মারকলিপি দিয়েছেন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীরা।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে লালপুর উপজেলা চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। পরে তা গোপালপুর বাজার ও রেলগেট প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়। এ সময় তারা ‘সি আর আবরার, আর নয় দরকার, সারা বাংলার শিক্ষক এক হও লড়াই করো, তুমি কে আমি কে শিক্ষক, শিক্ষক, আমাদের দাবি, মানতে হবে, মানতে হবে’ বলে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা চত্বরে এসে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন মোহরকয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. ইসমত হোসেন, গোপালপুর মহিলা আদর্শ মহাবিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ বেলাল হোসেন, গোপালপুর পৌর টেনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ আকরাম হোসেন, মঞ্জিলপুকুর কৃষি কারিগরি ও বাণিজ্যিক মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম, পাইকপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মওলানা আবুল কালাম আজাদ, ভেল্লাবাড়িয়া বাগুদেওয়ান আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জয়তুননেসা, শিক্ষক মঞ্জুরা খাতুন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, শিগগিরই আমাদের নায্য দাবি মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা মেনে নিয়ে গ্রেজেট প্রকাশ করুন। আমাদের ধৈর্যের সীমা শেষ হয়ে যাচ্ছে, তা না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।
এ সময় তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শিক্ষকদের আন্দোলনকে কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ে নিয়ে যাবেন না, এমন কোনো পরিচয় নেই। আমরা প্রত্যেকেই শিক্ষক। আমাদের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা রেখে আমরা রাস্তায় নেমেছি, আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে চাই না। আমাদের নায্য দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
পরে তারা লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
উল্লেখ্য গত ১৩ অক্টোবর থেকে সারা দেশের ন্যায় নাটোরের লালপুরেও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়ি ভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা ও সচিবালয়ের সামনে শিক্ষকদের ওপর পুলিশের হামলা ও বল প্রয়োগের প্রতিবাদে দাবিতে বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন।
মন্তব্য করুন