চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় নানা বাড়ির ভবনের কার্নিশ থেকে এক স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মরিয়মনগর বেয়ানবাজার এলাকায় পাকা দালানের কার্নিশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়।
নিহত মিনহাজুল ইসলাম (১২) উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কাউখালি মৌলানা গ্রামের বাসিন্দা রোয়াজারহাটের কাপড় ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের ছেলে। সে বেতাগী ওয়াজ উদ্দিন শাহ কেজি স্কুলের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
এ বিষয়ে মরিয়মনগরের ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক হিরু জানান, সকালে স্থানীয়রা খবর দেন ভবনের কার্নিশে একটি ছেলের নিথর দেহ পড়ে আছে। পরে থানায় খবর দিলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করেছে। স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, কয়েকদিন আগে সে তার মায়ের সঙ্গে নানার বাড়ির ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসে। বুধবার সকালে তার মা আর নানি শহরে একটি কাজে যাওয়ার সময় তাকে গোচরা চৌমুহনী বাজারে নামিয়ে দিয়ে স্কুলে যাওয়ার জন্য বলে। এরপর তারা ছেলেটির মৃত্যুর সংবাদ শোনেন৷
তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, সে স্কুলে না যাওয়ার জন্য পুনরায় মরিয়মনগর নানার বাড়ির বাসায় ফিরে আসে। এরপর বাসাটি বাইরে থেকে তালা মারা দেখে ভবনের ছাদ বেয়ে উঠতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। তবে পুলিশ লাশ উদ্ধারের পর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে বিষয়টি তদন্ত চালাচ্ছেন।
নিহতের স্বজন মো. শওকত বলেন, ‘সবাই ধারণা করছে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে মারা গেছে। আমরা বিষয়টি নিশ্চিত না। তবে এর পাশ দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে একটি বৈদ্যুতিক তার চলে গেছে ৷ নিচ থেকে ওই কার্নিশ একটি সিঁড়িও লাগানো ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও গিয়েছেন। কী কারণে এমন হলো বুঝতেছি না। সে তার মা-বাবার এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে বড় সন্তান ছিল। যেহেতু ছোট ছেলে তাই মরদেহটি বিনা ময়নাতদন্তের জন্য আবেদন করা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম শিফাতুল মাজদার জানান, ছেলেটিকে স্কুলে যাওয়ার জন্য তার মা-নানি গোচরা বাজারে নামিয়ে দিয়েছে বলে জানান। পরে সম্ভবত ছেলেটি পুনরায় নানার বাড়ি ফিরে আসে। বাসাটি তালা মারা দেখে ভবনের ছাদ বেয়ে প্রবেশ করতে চেয়েছে। তার সঙ্গে খাওয়ার জন্য কিছু প্যাকেট কেকও ছিল। এসময় অসাবধানতার কারণে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন