

খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন এক গণমাধ্যম কর্মী। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে বহির্বিভাগে থাকা মো. সেলিমুজ্জামান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
এ সময় ওই সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়। এ ঘটনায় নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী।
খুলনা সোনাডাঙ্গা থানার ওসি কবির হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হামলার শিকার ওই সাংবাদিকের নাম নুর মোহাম্মদ খান লিটু। তিনি খুলনার স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক প্রবাহের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, খুমেক হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও আন্তঃবিভাগে দালাল দৌরাত্ম্যে রোগীদের ভোগান্তির বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহে যান লিটু। এ সময় বহির্বিভাগে থাকা মো. সেলিমুজ্জামান তাকে অকথ্য ভাষায় গাআগাল করেন ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ঘটনার একপর্যায়ে ওই সাংবাদিকের ওপর হামলা করলে সেখানে কর্তব্যরত আনসার সদস্য তাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যায়।
জানা গেছে, অভিযুক্ত মো. সেলিমুজ্জামান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রজেক্টের ল্যাব টেকনোলোজিস্ট হিসেবে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত। দুর্নীতির অভিযোগে তাকে খুমেক হাসপাতাল থেকে বদলি করা হয়েছে। সেখানে অফিস না করে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে খুমেক হাসপাতাল কম্পাউন্ডের মধ্যে অবৈধ ডায়াগনস্টিক খুলে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যান। এসব বিষয়ে প্রশ্ন করতেই সাংবাদিকের ওপর হামলা চালানো হয়।
অভিযুক্ত সেলিমুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, আমি ছুটিতে আছি, যে কারণে খুলনায় রয়েছি। আমি কোনো প্রতিষ্ঠান চালাই না। এটা আমার আত্মীয়ের প্রতিষ্ঠান। সাংবাদিককে হামলা বা হুমকির কোনো ঘটনা ঘটেনি।
নুর মোহাম্মদ খান লিটু কালবেলাকে বলেন, এ ঘটনায় আমি সোনাডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। একজন সাংবাদিক হিসেবে আমি আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
মন্তব্য করুন