

দেশের উত্তর জনপদের অন্যতম জেলা গাইবান্ধার ৫টি আসনেই ১৯৯১ সাল থেকে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হয়ে আসছে। তবে এবার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ এবং জাতীয় পার্টির দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম না থাকায় বিএনপির জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কিন্তু দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দল সেই জয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্যদিকে জামায়াত নানা সংগঠনের নামে দীর্ঘদিন গোপনে দলীয় তৎপরতা চালিয়ে তাদের অবস্থান শক্ত করেছে, যা বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় দলীয় কোন্দল মেটাতে না পারলে নির্বাচনে দলের ভরাডুবির সম্ভাবনা দেখছেন নেতাকর্মীরা।
তবে সেই কোন্দল মিটিয়ে জেলা বিএনপিকে এক ছাতার নিচে নিয়ে আসার দাবি করেছেন সাবেক সচিব আমিনুল ইসলাম। ফলে আগামী নির্বাচনে বিএনপি গাইবান্ধার ৫টি আসনই উপহার পাবেন বলে তিনি ঘোষণা করেছেন। গত কয়েক মাস তিনি গাইবান্ধায় অবস্থান করে দলীয় বিবদমান গ্রুপগুলোর সঙ্গে প্রকাশ্য ও গোপনে আলোচনা করে অভ্যন্তরীণ বিরোধ মীমাংসা করেন। যা সর্ব মহলে প্রশংসিত হয়।
এলাকাবাসী জানায়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলায় নিশাত কাণ্ড, সাদুল্লাপুর উপজেলায় বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও সংঘর্ষ, বিভক্তি সৃষ্টিতে প্রতিপক্ষ দলের ষড়যন্ত্র, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পরস্পর বিরোধী ঝাড়ু মিছিল, পরবর্তীতে বিরোধীয় পক্ষদের সংঘর্ষের আশঙ্কার প্রেক্ষাপটে প্রশাসন কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারি- এসব ঘটনায় গাইবান্ধা জেলার বিএনপির রাজনীতিতে বিপর্যয়, স্থবিরতা ও পারস্পরিক অবিশ্বাস তৈরি হয়।
এই পরিস্থিতিতে সাবেক সচিব আমিনুল ইসলাম নিজ জেলা গাইবান্ধায় আসেন। তার আগমনের সংবাদে বিএনপিতে সৃষ্টি হয় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা। কয়েক হাজার মানুষ মোটরসাইকেল ও পিকআপযোগে গাইবান্ধায় তাকে স্বাগত জানায়। এলাকায় আগমনের পর থেকে মনোযোগ দেন দলীয় কোন্দল ও বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে। নিরলস প্রচেষ্টায় সফলও হন তিনি। বদলে যায় পুরো জেলা বিএনপির চিত্র।
প্রসঙ্গত, গাইবান্ধায় জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসন হলো- গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ), গাইবান্ধা-২ (সদর), গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ি-সাদুল্লাপুর), গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) ও গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি)।
মন্তব্য করুন