

ঢাকার সাভারে দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় সিটি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সিটি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘হামলার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবু জায়েদ মোহাম্মদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের জন্য বিবিএ অনুষদের ডিন অধ্যাপক জুলফিকার হাসানকে প্রধান করে আরও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
তিনি জানান, আমরা ইতিমধ্যে সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. আসাদুজ্জামা বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।’
সিটি ইউনিভার্সিটির প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, হামলায় তিনটি বাস, দুটি প্রাইভেট কার, একটি মোটরসাইকেলসহ প্রশাসনিক ভবনের বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। উপাচার্যের কক্ষও রেহাই পায়নি।
প্রসঙ্গত, গত রোববার (২৬ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় উত্তেজনা। একপর্যায়ে তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ভোররাত পর্যন্ত থামেনি সেই তাণ্ডব।
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সিটি ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসজুড়ে এখনও শঙ্কার ছায়া। শিক্ষার্থীশূন্য ক্যাম্পাসের নিস্তব্ধতা যেন বলছে—আতঙ্ক এখনো কাটেনি।
মন্তব্য করুন