হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০২:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নিম্নচাপের প্রভাবে আমনের ক্ষতি ‎

বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত আমন ধান। ছবি : কালবেলা
বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত আমন ধান। ছবি : কালবেলা

হেমন্তের শুরুতেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে বৃষ্টি। গত সপ্তাহে থেমে থেমে বর্ষণের ফলে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের বিভিন্ন স্থানের নিচু এলাকায় ফসলের মাঠে পানি জমে গেছে। এতে করে অনেক এলাকায় পাকা বোনা আমন ক্ষেতে পানি জমে গেছে।

ফলে অনেক ক্ষেতে ফেলে রাখা কৃষকের কাটা পাকা ধানের আঁটি ভারী বর্ষণে পানিতে ডুবে গেছে। ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন উপজেলার কয়েক হাজার কৃষক। এ ছাড়াও বৃষ্টিতে জমি নরম হওয়ায় রোপণ করতে পারছে না আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজ। ফলে মৌসুমের শুরুতেই অনেকটাই বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার কৃষক।

‎আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাসের প্রথম দিন দুপুরের পর থেকেই আকাশ মেঘলা হয়ে আসে। বিকেলের দিকে আকাশ আরও কালো হয় এবং সাড়ে ৪টার দিকে যেন সন্ধ্যা নেমে আসে। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির শুরু হয় এবং ৫টার পর ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এর দুদিন আগেও টানা বর্ষণ থেমে থেমে ভারী বর্ষণ হয়। এতে নবান্ন উৎসবের কৃষকের হাসি পাকা আমন ধান কাটতে অনেকটাই বিপাকে পড়তে হয়। এ ছাড়াও অনেক কৃষক আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজ লাগানোর জন্য প্রস্তুতি নিলেও গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভারী বর্ষণের কারণে তা সম্ভব হয়নি বলে জানান একাধিক কৃষক।

‎রোববার (৩ নভেম্বর) সরেজমিন বিভিন্ন ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, ভারী বর্ষণে নিচু এলাকার অনেক ক্ষেতে পানি কমে আছে। কৃষকেরা ধান কেটে আঁটি বেঁধে জমিতে রেখেছেন। পানিতে ডুবে গেছে সেসব জমির ধান। অনেকে আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজ লাগানোর জন্য জমি প্রস্তুত করলেও বৃষ্টির কারণে লাগাতে পারেনি। নতুন করে জমি প্রস্তুতের জন্য আবারও খরচের রোষানলে পড়েছেন কৃষকরা।

‎উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের সরফদিনগরের কৃষক শাজাহান মেম্বার বলেন, আমি ৮ বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করেছিলাম। তার মধ্যে ৩ বিঘা কেটেছি। তবে ধান বাড়িতে আনার আগেই বৃষ্টি শুরু হয়। জমিতে আঁটি বাঁধা ধান পানিতে ডুবে যায়। এখন সেই ধান বাড়িতে আনতে গেলে অর্ধেকই ক্ষেতে ঝরে যাবে। বৃষ্টি না হলে আমরা ধানগুলো বাড়িতে আনতে পারতাম।

‎দক্ষিণ গোড়াইল গ্রামের ইব্রাহিম বলেন, আমি গত শুক্রবার আগাম মুড়িকাটা পেঁয়াজের জন্য জমি প্রস্তুত করেছিলাম। কিন্তু বৃহস্পতিবার টানা বৃষ্টিতে আমার ক্ষেত একেবারে কাদা হয়ে যাওয়ায় আর পেঁয়াজ লাগাতে পারিনি। প্রায় ১৫ দিন পেছনে পড়ে গেলাম।

‎উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌহিদুজ্জামান খান জানান, চলমান বৃষ্টিতে কৃষকদের চাষাবাদের ক্ষেত্রে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। এ ছাড়া যদি এই বৃষ্টি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে কৃষকদের ফসলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তবে বৃষ্টি আর না হলে আশা করি কৃষকদের সমস্যা হবে না। এ বিষয়ে আমরা কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিচ্ছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বদলে গেছে ভিকির জীবন

যশোরে নিখোঁজ পুলিশ সদস্য, ২২ দিন পর মরদেহ মিলল পঞ্চগড়ে

ময়মনসিংহের সেই ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭

সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৬ শান্তিরক্ষীর মরদেহ ঢাকায়

একটি কুচক্রী মহল নির্বাচন বানচাল করার পাঁয়তারা করছে : কালাম

সাইবার হামলায় ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বছর ২০২৫

হাদির জানাজা পড়াবেন বড় ভাই আবু বকর

জানাজার নামাজের নিয়ম, দোয়া ও ফজিলত

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে দুর্বৃত্তদের আগুন, প্রাণ গেল শিশুর

পদ্মার ১৮ কেজির কাতল ৩৮ হাজার টাকায় বিক্রি

১০

হাদির জানাজা ঘিরে ডিএমপির ব্যাপক নিরাপত্তা

১১

ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে হাদির মরদেহ

১২

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

১৩

ঢাকার তাপমাত্রা আজ কেমন থাকবে

১৪

আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন: ছায়ানট

১৫

গোপনে ইসরায়েলের সঙ্গে বড় অস্ত্র চুক্তি করেছে আমিরাত

১৬

ওয়াশিংটনে রাষ্ট্রদূত মুশফিকের ইমামতিতে হাদির গায়েবানা জানাজা

১৭

ওসমান হাদিকে হত্যা নির্বাচন বানচাল ও ষড়যন্ত্রের অংশ : রহমাতুল্লাহ

১৮

ইউক্রেনের বন্দরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ৭

১৯

লন্ডন থেকে দেশে ফিরেই হাদিকে দেখতে গেলেন জামায়াত আমির

২০
X