অনলাইন মুদ্রা ব্যবসার (বিটকয়েন) নামে প্রতারণা করে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে নুরুন্নবী পলাশ (৩৩) ও মিনারুল হক মিঠু (৩৪) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নগরীর তেরখাদিয়া ও নিউমার্কেট এলাকা থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
নুরুন্নবী পলাশের বাড়ি গোমস্তাপুর উপজেলার কদমতলি গ্রামে। তিনি মৃত জুল মোহাম্মদ সরদারের ছেলে। তিনি বর্তমানে নগরীর তোরখাদিয়া স্টেডিয়ামের পশ্চিমে গ্রিন টাওয়ারের নবম তলায় বসবাস করে। অপরজন মিনারুল হক মিঠুর বাড়ি নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার খোদ্দকাছুটিয়া গ্রামে। তিনি আলিম উদ্দিনের ছেলে। তাদের আরেক সহযোগী নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার আব্দুল হান্নানের ছেলে আনারুল ইসলাম জয় পালাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বোয়ালিয়া থানার এসআই গোলাম মোস্তফা জানান, পলাশ ও মিঠুকে ধরতে বোয়ালিয়া ও রাজপাড়া থানা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। পলাশকে গ্রেপ্তার করে হয়েছে বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর তেরখাদিয়া স্টেডিয়ামের পশ্চিমে গ্রিন টাওয়ারের ৯ তলা ভবন থেকে। তার দেওয়া তথ্যে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নিউ মার্কেটের এশিয়ান স্কাই থেকে মিঠুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় প্রতারণা, ভয়ভীতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর বোয়ালিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের আনোয়ার হোসেন নয়ন। মামলায় নুরুন্নবী পলাশ, মিনারুল হক মিঠু ও আনারুল ইসলাম জয়কে আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতে ডলার প্রতারণা অভিযোগে একটি মামলা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডিবি পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে বলে জানান এসআই গোলাম মোস্তফা।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, অনলাইন মুদ্রা (বিটকয়েন) ব্যবসার নামে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বেশ কিছু লোকের নিকট থেকে নূরনবী পলাশ ও তার সহযোগীরা প্রায় ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগীরা রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অন্তত দশটি মামলা চলমান রয়েছে।
মন্তব্য করুন