যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৫৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

‘ঘুষ নয়, পাকা কলা খাওয়া’ সেই কর্মকর্তা বরখাস্ত

আলমগীর হোসেন। ছবি : সংগৃহীত
আলমগীর হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

যশোর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানিতে ‘ঘুষ নয়, পাকা কলা খাওয়া’র কথা স্বীকার করা জেলা পরিষদের সেই উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বুধবার (৫ নভেম্বর) জেলা পরিষদ তার বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

এর আগে গণশুনানি থেকে গত ২৬ অক্টোবর দুদক চেয়ারম্যান তাকে তাৎক্ষণিক বরখাস্তের আদেশ দিয়েছিলেন। তাৎক্ষণিক বরখাস্ত ছাড়াও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন যশোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শাহীন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২৬ অক্টোবর যশোরে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ও কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী।

গণশুনানিতে বাগআঁচড়া এলাকার বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম অভিযোগ করেন, জেলা পরিষদের দোকান বরাদ্দের নামে পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেন তার কাছে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েছেন এবং আরও ৬ লাখ টাকা দাবি করেন। ঘুষ না দেওয়ায় দোকানের ডিসিআর রশিদ ফেরত নিয়ে গেছেন।

অভিযোগের জবাবে আলমগীর হোসেন দাবি করেন, ‘তিনি ঘুষ খাননি। আনোয়ারুল ইসলাম ছেলের বিয়েতে দাওয়াত দিয়েছিলেন। তাই দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন। আর আনোয়ারুল ইসলাম তাকে পাকা কলা দিয়েছেন। তিনি কলা খেয়েছেন।’ এ সময় মিলনায়তনে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ উঠে আসে।

পরে দুদক চেয়ারম্যান দোকান বরাদ্দের নামে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগে তাকে তাৎক্ষণিক সাময়িক বরখাস্ত করে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শাহীনকে।

জেলা পরিষদ সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ওই দোকান বরাদ্দে ঘুষ গ্রহণ ছাড়াও উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে ডিসিআর প্রদান নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। ২৬ অক্টোবর গণশুনানিতে দুদক চেয়ারম্যান তাকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দিলেও তাকে ৫ নভেম্বর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আলমগীর হোসেনের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি রিসিভ হয়নি।

যশোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শাহীন বলেন, উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে ৫ নভেম্বর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ছুটিতে থাকায় দাপ্তরিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নির্দেশ কার্যকর করতে সময় লেগেছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। মামলা দায়েরের পর তদন্ত শুরু হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গুলিবিদ্ধ বিএনপি প্রার্থীকে দেখতে হাসপাতালে জামায়াতের প্রার্থী

ডেমরা থানা বিএনপির কমিটি গঠন

এরশাদ উল্লাহ টার্গেটে ছিলেন না : সিএমপি কমিশনার

বিএনপির প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, ভিডিওতে যা দেখা গেলো

‘ঘুষ নয়, পাকা কলা খাওয়া’ সেই কর্মকর্তা বরখাস্ত

সন্দ্বীপে মিল্টনকে এমপি প্রার্থী করার দাবিতে নারী সমাজের সমাবেশ

ঢাবিতে মধ্যরাতের সেই বিতর্কিত ভিডিওর জবাব দিলেন সর্ব মিত্র

বিএনপির মনোনয়ন পেলেন সাবেক মেয়র আরিফুল হক

বিএনপি প্রতিহিংসা-প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয় : কফিল উদ্দিন

ইডেন কলেজে সংকট নিরসনে ‘অপরাজেয়’র স্মারকলিপি প্রদান

১০

‘ছাত্রনেতাদের দাবির প্রেক্ষিতেই তপশিল ঘোষণা করা হয়েছে’

১১

সংকট উত্তরণে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : মোস্তফা জামান

১২

চট্টগ্রামে গণসংযোগে গুলির ঘটনায় সরকারের নিন্দা

১৩

এনসিপির এক নেতাকে সাময়িক অব্যাহতি

১৪

মাজার জিয়ারত করে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু মীর হেলালের

১৫

প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, যাদের আবেদন করতে মানা

১৬

মা-বাবার কবর জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচার শুরু সেলিমুজ্জামানের

১৭

গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতেই বিএনপি কাজ করছে : আমীর খসরু

১৮

ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হতে হবে : বাবুল

১৯

তারুণ্য নির্ভর ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে চাই : জামায়াত আমির

২০
X