

রাজশাহীর বাগমারায় বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে মৎস্য চাষিদের বিরুদ্ধে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের সাইধাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের যশোর বিলে স্থানীয়দের জমি রয়েছে। স্থানীয় জমির মালিকদের কাছ থেকে লিজ নিয়ে আবু জাফর নামের একজন মাছ চাষ করে আসছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এলাকার প্রভাবশালী বিএনপি ও জামায়াতের লোকজন বিলটির দখল নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। তারা জমির মালিকদের লিজের টাকা না দিয়ে মাছ ধরার পাঁয়তারা শুরু করেন।
জমির মালিকরা মাছ চাষিদের কাছে জমির টাকা দাবি করেন। এর জেরে রোববার রাত ৯টার দিকে জমির মালিকদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। খবর পেয়ে হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জমির মালিক সাইধাড়া বাসিন্দা সুশীল চন্দ্র দেবনাথ, আব্দুল জব্বার, আব্দুল মান্নানসহ কয়েকজন বলেন, আমাদের যশোর বিলে কিছু জমিজমা আছে। কিন্তু আমাদের টাকা পরিশোধ না করে নানাভাবে টালবাহানা, হয়রানি করছে বিল কমিটি।
লিজের টাকা চাইলে তারা সুপরিকল্পিতভাবে বহিরাগতসহ গ্রামের কয়েকজন চিহ্নিত দুষ্কৃতকারী বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে। হামলার সময় বৈদ্যুতিক মিটার, বিশুদ্ধ পানির মোটর, দরজা-জানালা, বসতবাড়ির প্রাচীর, টিনের চালা ভাঙচুর করা হয়। এমনকি আলুক্ষেতও নষ্ট করে ফেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান বাচ্চুর ইন্ধনে সরাসরি হামলায় অংশগ্রহণ করেন আজিজুর রহমান, আব্দুল জব্বার সেকেন আলী, লেকেন আলী, মোজাহার আলী, মোজাফফর হোসেন, আব্দুর রাজ্জাকসহ ২৫ থেকে ৩০ জন। হামলায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। তিনি অসুস্থ রয়েছেন বলেও গণমাধ্যমকে জানান।
বাগমারা থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন