

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, সরাইল-আশুগঞ্জের লোকজন ধানের শীষ ছাড়া কিছুই বোঝে না। ২০০১ সালে এ এলাকার মানুষ জোটের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে তারা আর ভোট দেয়নি। ২০১৮ সালে আবার ধানের শীষকে বিজয়ী করেছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার তারুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের সংবর্ধনা ও পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সভায় নিজেকে সরাইল-আশুগঞ্জের সন্তান দাবি করে রুমিন ফারহানা বলেন, আমার বাবা এ মাটি থেকেই নির্বাচন করেছিলেন। আপনারা আমার বাবাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে সংসদে যেতে দেননি। আমি এ মাটিরই সন্তান, এখান থেকেই নির্বাচন করব, ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, কথায় কথায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের জন্য জোটের প্রার্থীর কথা আসে কেন? আমরা কি ভোটের বাক্স ভরে দিই নাই? তাহলে কেন আমাদের প্রতি অবহেলা? এবার এ এলাকার জনগণ সমুচিত জবাব দেবে, ইনশাআল্লাহ।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বলেন, সরকারি দল-বিরোধী আমার কাছে কিছুই না। আমার জীবনের রাজনীতি শুরুই হয়েছে বিরোধী রাজনীতি দিয়ে। মানুষের কথা বলা, মানুষের জন্য কাজ করা। এটা আমার জন্য কোনো সমস্যাই না। ইচ্ছা থাকলে মানুষের জন্য কাজ করা যায়।
তিনি বলেন, আমি মন্ত্রী বা এমপি কিছুই না। তবুও আমি আশুগঞ্জ সার কারখানায় গ্যাসের চাপ বাড়ানোর দাবি করেছিলাম। সরকার কিছু সময়ের জন্য হলেও আমার অনুরোধ রেখেছে এজন্য ধন্যবাদ জানাই। তবে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, হাসপাতালসহ সর্বত্র এ চাপ যদি স্থায়ীভাবে রাখতে হয়, তাহলে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী দেখে ভোট দিতে হবে। অন্যের কথায় ভুল মানুষের হাতে ক্ষমতা তুলে দেবেন না।
রুমিন ফারহানা বলেন, আমার আগামীর রাজনীতির সিদ্ধান্ত হবে আপনাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। আপনারা আমার পাশে থাকলে আমার মৃত্যু পর্যন্ত এ এলাকাই হবে আমার শেষ ঠিকানা। অনেকেই হয়তো বলবে, উনাকে এটা দেওয়া হবে, সেটা দেওয়া হবে আমি এ এলাকার মানুষের ভোট ছাড়া কিছুই হতে চাই না।
তারুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেন সাইমোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা ইসহাক মিয়া, সদস্য সচিব মাওলানা ইয়াহইয়া খান, মুফতি ইয়াসিন আরাফাত, মাওলানা মো. রশিদ আহমেদ, মুফতি শরীফুল ইসলাম নূরী, মাওলানা আমিনুল ইসলাম বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজি মো. সাদেক, মো. হামিদুর রহমান মিয়াজী, চরচারতলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফাইজুর রহমান এবং উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির মুন্সী।
মন্তব্য করুন