

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আলোচিত নুরুল হক মোল্লা ওরফে নুরাল পাগলের (৮৫) দরবারে হামলার দুই মাসের বেশি সময় পর নতুন মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় ৯৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নুরাল পাগলের শ্যালিকা শিরিন বেগম।
আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামজিদ হোসেন মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মামলায় ৯৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। চলতি বছরের ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে মামলাটি তদন্ত করে সিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ৫ সেপ্টেম্বর জুমার নামাজের পর গোয়ালন্দ বাজার শহীদ মহিউদ্দিন আনসার ক্লাবে উপজেলা ইমান আকিদা রক্ষা কমিটি ও তৌহিদী জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখান থেকে একদল মানুষ বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দফায় দফায় নুরাল পাগলের দরবারে হামলা চালায়। হামলাকারীরা শরিয়ত পরিপন্থিভাবে দাফনের অভিযোগ তুলে নুরাল পাগলের লাশ কবর থেকে তুলে আনে। একপর্যায়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দের পদ্মার মোড় এলাকায় লাশটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া, পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে একদল লোকের এই হামলায় ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন। হামলায় আহত হয়ে মারা যান রাসেল মোল্লা নামের এক ব্যক্তি। রাসেল মোল্লার বাবা আজাদ মোল্লা গত ৮ সেপ্টেম্বর রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা করেন। এতে রাসেল হত্যাসহ নুরাল পাগলের দরবারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। মামলাটিতে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার অজ্ঞাতপরিচয়কে আসামি করা হয়। ওই মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে গোয়ালন্দ থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম মোল্লা তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মন্তব্য করুন