

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, আবারও যে জ্বালাও-পোড়াও শুরু হয়েছে, এরাই তো তারা। যারা হোটেল শেরাটনের সামনে দোতলা বিআরটিসি বাসের মধ্যে গানপাউডার দিয়ে ১২ সাধারণ নাগরিককে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। জ্বালাও-পোড়াওয়ের রানি এখন পালিয়ে বিদেশে আছে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ওসমানপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফ্রি চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ প্রদান করার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাহিদ বলেন, আজ বাংলাদেশে যে নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা এবং আগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে, হাসিনার নির্দেশেই ঘটানো হচ্ছে। এরা জনগণের অধিকারে বিশ্বাস করে না। হাজার হাজার মানুষকে পাখির মতো গুলি করে মেরেছে। আমার ভাই-বোনকে গুম করেছে, তারপরও এদের রক্ত পিপাসা মেটেনি।
তিনি বলেন, ১৪ মাস না যেতেই আবারও তারা জনগণের ওপর জ্বালাও-পোড়াও শুরু করেছে। অর্থাৎ এরা প্রতিহিংসায় বিশ্বাস করে। এরা অনুশোচনা বা আত্মসমালোচনায় বিশ্বাস করে না। এদের জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলা উচিত ছিল যে, আমাদের সুযোগ দিন। আমরা আপনাদের পাশে দাঁড়াতে চাই। সেটি না করে বরং আরও তাদের নেত্রী জোর গলায় বলে, আমি কোনো অন্যায় করিনি। অন্যায় করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিল কে? কে বললো গুলি চালাও? কে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করার অনুমতি দিল?
তিনি আরও বলেন, যখন একে একে সব বেরিয়ে আসছে, যখন বিচারের সম্মুখীন হচ্ছে, তখন তারা বিশৃঙ্খলার পাঁয়তারা করছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। মানুষের ঐক্যের কাছে এসব ষড়যন্ত্রকারীরা হেরে যাবে। জনগণের যে গণঐক্য তৈরি হয়েছে, সে ঐক্য জয়যুক্ত হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন সুশৃঙ্খলভাবে হবে। কোনো ষড়যন্ত্রই এই নির্বাচনকে আটকিয়ে রাখতে পারবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দিনাজপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার মিলন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আল-মামুন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাফুজার রহমান লাবলু, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোফাজ্জল হোসেন মোফা, পৌর যুবদলের সদস্যসচিব সজীব কবিরসহ পৌর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মন্তব্য করুন