

চট্টগ্রামে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারীরা। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পথচারীরা পর্যন্ত রয়েছে ছিনতাই আতঙ্কে। এসব চোর-ছিনতাইকারী দমন করতে চলছে পুলিশি কার্যক্রম। এরপরও থেমে নেই ছিনতাই। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় হচ্ছে এসব ছিনতাই।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) মধ্যরাতে নগরীর লালদিঘীর পাড়ে জেলা পরিষদ ভবনের বিপরীতে সিএমপি কমিশনারের পুরোনো কার্যালয়ের সামনে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক চা বিক্রেতা খুন হয়েছেন।
পুলিশের তথ্য মতে, নিহত চা বিক্রেতার নাম মো. ইসমাইল (৩০)। তিনি কোতোয়ালি থানার কাছে নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার বাড়ি লহ্মীপুর জেলায়।
থানার আনুমানিক ১০০ গজের মধ্যে ‘ছিনতাইকারীর’ ছুরিকাঘাতে এক যুবক খুন হন। লালদিঘীর পাড়, পুরোনো গির্জাসহ আশপাশের এলাকায় ঘুরে ঘুরে চা বিক্রি করতেন ইসমাইল। লালদীঘি ময়দানের সামনে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে। দায়িত্বরত টহল পুলিশের সদস্যরা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, ওই যুবকের হাতে ও বুকে ছুরিকাঘাতের জখম রয়েছে।
কোতোয়ালি থানার কনস্টেবল মাহমুদ হোসেন বলেন, টহল দেওয়ার সময় তাকে আহত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখি। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল করিম কালবেলাকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে সাইকেল চালিয়ে লালদিঘীর পাড় থেকে ফিরিঙ্গীবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন ইসমাইল। জেলা পরিষদ ভবনের বিপরীতে কোতোয়ালিমুখী সড়কে তিন ছিনতাইকারী তার পথরোধ করে। ছিনতাইকারীরা তার কাছে থাকা মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির মধ্যে তাদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন ইসমাইল। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করছে।
মন্তব্য করুন